খুলনার পাইকগাছায় রাত পোহালেই ৯ জুন রোববার কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে-৬. মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে-৪ ও প্রুুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে-৯সহ মোট ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। উপজেলায় ৯৭টি ভোট কেন্দ্রে অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ৩ স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সিভিল প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে শনিবার পাইকগাছা সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং করেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিপিএম (বার)।
ব্রিফিংকালে তিনি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যারা বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করার নির্দেশ দেন। এ সময় ইউএনও মাহেরা নাজনীন, ওসি মো. ওবাইদুর রহমান সহ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১০টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভার ২ লাখ ৩১ হাজার ৯১৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জনমত জরিপে ও বিভিন্ন উৎস থেকে জানাগেছে, চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু ও চিংড়ি মাছ প্রতিকের প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস মধ্যে ভোটের লড়াই হবে। তবে আরোও ক'টি সূত্র বলছেন, এ দু'জনের মধ্যে যেই জয়ী হোক না কেন তাকে দোয়াত-কলম প্রতিকের প্রার্থী অ্যাঙ. আবুল কালাম আজাদকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য ৩ প্রার্থীর মধ্যে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনারস প্রতিকের কৃষ্ণপদ মন্ডল ও কাপপিরিচ প্রতিকের অ্যাড. সম শিবলী নোমানী রানা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রধান শিক্ষিকা অনিতা রানী মন্ডল (বল) ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী (পদ্মফুল) প্রতিকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। তবে হাঁস প্রতিকে ময়না বেগম ভালো ভোট পাবার প্রত্যাশা করছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে-৯ প্রার্থীর মধ্যে কে জয়ী হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। কাকে ভোট দিবেন এ নিয়ে ভোটাররা পড়েছেন বিভ্রান্তীতে। তবে প্রভাষক আবদুল ওয়াহাব বাবলু (পালকি), সুকুমার ঢালী (উড়োজাহাজ), প্রভাষক বজলুর রহমান (টিয়াপাখি), সিরাজুল ইসলাম (মাইক), বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু (তালা) ও এসএম হাবিবুর রহমান মুছা (চশমা) প্রতিক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ বিষয়ে সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, ৯৭ টি ভোট কেন্দ্রে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোট গ্রহণের জন্য প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।