চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নে একটি জামে মসজিদ চত্বর উন্নয়নে নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রকাশ নজির আহাম্মদ সওদাগর মসজিদ চত্বর উন্নয়নে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে এলাকাবাসী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বলে প্রাপ্ত অভিযোগ জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের অভিযোগ, রাতের আঁধারে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী( তথা টাইলস) দিয়ে মসজিদের চত্বরের উন্নয়ন কাজ করছেন ঠিকাদার। তাছাড়া এই কাজে ব্যবহ্নত টাইলস গুলোর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ঠিক থাকলেও উচ্চতা ঠিক নাই বলে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেভাবে এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ করার কথা সেভাবে নির্মাণ কাজটি হচ্ছে না।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে নজির আহাম্মদ সওদাগর মসজিদের প্রাঙ্গণ তৈরীর কাজ শুরু হয় মে মাসে। প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নিশান ট্রেডিং নামে এক প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির এই কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা ক্ষুব্ধ।
ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই মসজিদের প্রাঙ্গণ তৈরীর কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। তবে, এরমধ্যে রাতের আঁধারে নিম্নমানের টাইলস দিয়ে যতটুকু কাজ সম্পন্ন করেছে তাতে অনেকগুলোই ভাঙ্গা। তাছাড়া এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না বলে এনিয়ে এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কাজের মান ও নিম্নমানের টাইলস ব্যবহারে ক্ষুদ্ধ ওই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি সত্তোর্ধ্ব হাফেজ আরবান আলী বলেন, দিনের কাজ রাতের আঁধারে নিম্নমানের টাইলস দিয়ে করছে। প্রকল্পটির অধিকাংশ কাজ শেষ। এরমধ্যে প্রায় টাইলস ভাঙ্গা এবং এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না। তাছাড়া যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানটি কাজটি না করে করছে হোসেন মঞ্জু নামের একজন ব্যক্তি।
এনিয়ে এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপণ্ডসহকারী প্রকৌশলী অনিময় চাকমাকে জানানো হলে তিনি এ কাজে কোন নিম্নমানের টাইলস ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তাদের জানায় ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনর রশীদ।
তিনি জানান, সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নের কাজগুলো অনেকটা কষ্ট করে এমপি মহোদয়ের বরাদ্দ থেকে এনেছি। তিনি তাঁর সুনামের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। অথচ এ রকম নিম্নমানের কাজ করলে তাঁর সুনামের জায়গায় দুর্নাম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে জানান, মসজিদের কাজ নিয়ে ফাঁকিঝুকি করার কোন সুযোগ নেই। আমার অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মসজিদ কমিটির লোকদের সাথে নিয়ে পছন্দ করে টাইলসগুলো কেনা হয়েছে। তবুও এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছি। আগামী তিনদিনের মধ্যে ঠিকাদারকে ভাঙ্গা টাইলসগুলো পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।