মামার ওজন ১ হাজার কেজি ও ভাগ্নের ওজন ৭০০ কেজি। সম্পর্কে তারা আবার মামা-ভাগ্নে। বিশাল এ দু’টি ষাঁড়ের মালিকের দাবি নামকরণ হয়েছে নিজ ইচ্ছাতে নয়। তাদের সম্পর্কের কারণেই এ নাম দেওয়া।শুনতে অদ্ভুত হলেও বাস্তবেই তারা সম্পর্কে মাম-ভাগ্নে। মামার বোনের সন্তান ভাগ্নে। তাদের থেকেই এই দুই বিশালাকার ষাঁড় দু’টির জন্ম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড় দু’টিকে লালন পালন কর হয়েছে। মামার বয়স ৪ বছর ও ভাগ্নের বয়স সাড়ে ৩ বছর।
উপজেলার ভাটই কুলচারা গ্রামে গেলে দেখা মিলবে দৈত্যাকার ষাঁড় তার নাম আবার মামা। বিশালাকার এই ষাড়ের ওজন কমপক্ষে ১ হাজার কেজি বা ২৫ মণ। আতিয়ার রহমানের বাড়িতে গেলে দেখা মিলবে এ ‘পাকিস্তানি সয়াল’ জাতের এ ষাড়ের। বয়স ৪ বছর। জন্মেছে আতিয়ারের বাড়িতেই। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবারই ষাড়টিকে বিক্রি করার মনস্থির করেছে মালিক। পুরো পরিবার ষাড় দু’টির যতœ-অত্বিত্বে সারদিনই ব্যস্ত সময় পার করছে। এবারের কোরবানির ঈদের হাটে মামার দাম হাকা হচ্ছে ১৫ লাখ ও ভাগ্নের দাম ১০ লাখ টাকা।
কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ বার তাদের গোসল করিয়ে দিতে হয়। খাবারের তালিকা রয়েছে একবারেই দেশীয় খাবার যেমন ভাত, গম, উন্নত জাতের নেপিয়ার ঘাস, খড়। কোনো ধরনের স্টেরওয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয় না। আতিয়ার রহমানের স্ত্রী আছিয়া বেগম জানান, এই গরমে কোন ভাবেই আমরা কেমিকেল দেই না। সন্তানের মতো ভালোবাসা দিয়ে এই ষাঁট দু’টিকে লালন পালন করা হয়েছে। গ্রামবাসি রহমান আলী জানান, এত বড় গরু আমরা এর আগে দেখিনি। এদের নামেও রয়েছে বৈচিত্র। এবার জানা গেল কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তুত রয়েছে মামা ও ভাগ্নে ষাঁড়। সারাদেশে একটি আলোচিত নাম এই প্রিয় ষাঁড়ের নাম রেখেছে এর মালিক। ষাড়টি এখন গৃহকর্তার বাড়িতেই রয়েছে। ষাঁড়টি দুটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা খামারে ভিড় করছেন। এদের কে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পরম যতেœ লালন-পালন করেছেন।অনেক আগে থেকেই গরু লালন-পালন করেন কস্বামী স্ত্রী দুজন মিলে। কোরবানি ঈদে বিক্রি করবেন বলে জানান। গরু লালন-পালন করতে তাদের নাকি খুব ভালো লাগে।
উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা মোনজিৎ কুমার মন্ডল জানান, এ বছর জেলাজুড়ে প্রস্তুত রয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার কোরবানির পশু। এর মধ্যে চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার। উদ্বৃত্ত থাকবে ১ লাখ ১১ হাজার ৫০০ পশু।