অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে আপস-মিমাংসার মাধ্যমে অধিকাংশ মামলা বিচারের আগেই নিষ্পত্তি হয়। যার ফলে মামলা বিচারের জন্য যায় কম। সে কারণে ওদের মামলাজটটাও কম। আর আমাদের দেশে প্রায় সকল মামলাই বিচারের জন্য আদালতে যায়। পরে প্রতিটি মামলাতে সাক্ষ্য হয়, প্রমাণ হয়- এসব করতে সময় লাগে। একজন বিচারকের কাছে ২০টা, ২৫টা, ৫০টা কিংবা ১০০টা মামলা থাকেন। তখন নিষ্পত্তি করতে সময় লাগে।’ রোববার (১২ মে) সকালে রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে দেশের আদালতগুলোতে মামলাজট প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বোতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক মামলা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। পুলিশও কোনো রাজনৈতিক মামলা করে না। তবে যেকোনো একটি ঘটনা ঘটলে একজন ইনফরমেটিভ হন, পরবর্তীতে রাষ্ট্র মামলাগুলো পরিচালনা করে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না আমার জানা নেই। সম্ভবত মামলা হয়নি। কারণ, এই আইনটা সতর্কভাবে প্রয়োগ করার কথা আছে এবং এই মামলাগুলো যিনি করবেন, তাকে কিন্তু অনেক কিছু প্রমাণ করতে হবে। এ কারণে এই আইনে মামলা করা সহজ নয়। এছাড়াও এই আইনে কারও যেন হয়রানি না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখা হয়েছে।’
পরে মুট কোর্টে প্রতীকি বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা হয়। এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মামলার বাদী, সাক্ষী, আসামি, আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীর ভূমিকায় ছিলেন।
পরবর্তীতে ‘আইন পেশায় কেন আসবেন’ শীর্ষক আইন ও মানবাধিকার বিভাগের একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এতে অতিথি বক্তা ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আশরাফ আলী। সভাপতিত্ব করেন আইন ও মানবাধিকার বিভাগের বিভাগের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক আবু নাসের ওয়াহিদ। এই সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফয়জার রহমান, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারমিতা জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।