গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর স্বজন সালমা নামের এক নারী নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পপি আক্তার নামের এক নার্সকে মারধোর করে লাঞ্ছিত করে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লেবার ওয়ার্ডে। এসময় প্রসূতি রোগীসহ অন্য ওয়ার্ডের রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে। হামলা ও লাঞ্ছিত হওয়ার পর গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অভিযুক্ত সালমা হাপাতালে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু কোন পত্রিকার নাম বলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ বিষয় জানার জন্য চেষ্টা করা হলে অভিযুক্ত সালমাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সূত্র জানায়, গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার গভীর রাতে ডাকুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক সালমা নামের এক নারী তার ছেলে লিমন ও ভাইয়ের ছেলে ফরহাদ মারামারি করে অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য পান। দায়িত্বরত চিকিৎসক লিমন ও ফরহাদকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে ভর্তির পর গভীর রাতে রোগীর সাথে আসা সালমা ঘুমানোর জায়গা খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে গইনিী বিভাগের লেবার ওয়াডেরর্ রোগী থাকা অবস্থায় ভিতর ঘুমাতে গেলে দায়িত্বরত নার্স পপি আক্তার বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সালমা ক্ষিপ্ত হয়ে নার্স পপি আক্তারকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি দিয়ে আহত করে। ডাকচিৎকার শুনে অন্য রোগীরা নার্সকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে গলাচিপা থানার পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যক্ষদর্শী রতনদী তালতলী ইউনিয়নের মো. ডিপটি বলেন,‘ ঘটনার সময় আমি কাছাকাছি ছিলাম। আমার ছেলের ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আছি। ওই মহিলা (সালামকে) গাইনি ওয়ার্ডে যেখানে ডেলিভারি হয় সেখানে ঘুমাতে না দেওয়ায় নার্সকে গালাগালি করে। এক পর্যায় চুলের মুঠি ধরে কিল ঘুষি দেয়। আমরা নার্সকে উদ্ধার করি। ’ গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পানা কর্তকর্তা ডা. মো. মেহবাহ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শোনার পর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলছে। আহত নার্সকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফেরদাউস আলম খান বলেন, থানায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।