দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে এক কৃষকের ৬০ শতাংশ বোরো জমির ধান গাছে প্রতিপক্ষরা আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করায় ধান গাছের পাতা পুড়ে ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। প্রতিপক্ষরা ইতিপূর্বে নোমানুর রহমানের জমির ধান বিগত ৪ মৌসুমে একই ভাবে বিষাক্ত আগাছা নাশক স্প্রে করে সমুলে ফসল বিনষ্ট করে দেয়। এতে ওই কৃষক পরিবারটি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শিমনা গ্রামের নজমল হকের ছেলে নোমানুর রহমান নিজের সামান্য জমি আবাদ করে পরিবার চালান। একই গ্রামের ফুলচাঁনের ছেলে সোবাহান ও সোবাহানের ছেলে সাইদুল এবং সলেমান নোমানুর রহমানের ভোগ দখলীয় জমি জোর পূর্বক জবর দখলের চেষ্টা করে আসছেন। এরই ধারা বাহিকতায় প্রতিপক্ষরা ইতিপূর্বে নোমানুর রহমানের জমির ধান বিগত ৪ মৌসুমেও একই ভাবে বিষাক্ত আগাছা নাশক স্প্রে করে সমুলে বিনষ্ট করে দিয়েছে। ফলস নষ্ট হওয়ায় কৃষক নোমানুর রহমান পরিবার নিয়ে মানবেতর ভাবে দিনাতিপাত করছেন। অনেক কষ্টে এবার অন্য ৬০ শতাংশ জমিতে ২৯ জাতের বোরো চারা রোপন করেন তিনি। সেই চারা পুষ্টতা পেয়ে শীষ আসার আগ মুহুর্তে গত ২৭ মার্চ রাতে প্রতিপক্ষরা আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বোরো ক্ষেতে বিষাক্ত আগাছা নাশক স্প্রে করে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুর রহমান ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করতে দেখে ফেলায় প্রতিপক্ষরা প্রত্যক্ষদর্শী আমিনুর রহমানকে ধাওয়া করে পালিয়ে যায়। পরদিন দুপুর হতেই ধানের সব গাছ মরে গিয়ে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। কষ্টের ফসল নষ্ট হওয়ায় পরিবারের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কৃষক নোমানুর রহমান শোক- দুঃখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। ফসল ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবিতে তিনি আসামীদের নাম উল্লেখ করে ২৯ মার্চ রাতে নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাওহীদুল ইসলাম জানান,জমির বোরো ক্ষেত নষ্ট করে দুর্বৃত্তরা অমানবিক কাজ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।