মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ছেলে মেযেকে বিষ খাইয়ে হত্যা পর মা সালমা বেগম (৩৫) গলায় রশি প্যাচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার সকাল ৯ টার দিকে তাদের বসত ঘর থেকে একে একে মা, ছেলে ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের উত্তর ইসলামপুর গ্রামে। মারা যাওয়া তিন জন হলেন ইসলামপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী ওলি মিয়ার একমাত্র স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫) তার মেয়ে কেরানীগঞ্জের চর সোনাকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালযের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী ছাইমুনা আক্তার (৯) ও ছেলে একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র তাওহী হোসেন (৭)। মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। সালমা বেগমের জ্যা রোজিনা আক্তার জানান, সে ঋণগ্রস্ত ছিল বিভিন্ন এনজিও থেকে সুদে টাকা নিয়ে ছিল। রোববার সকাল ৯ টার দিকে দুইজন এনজিওর লোক আসছিল কিস্তি নেওয়ার জন্য, তারা ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ফিরে যায়। পরে জানালা ভেঙ্গে দেখি সালমা ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে আর বাচ্চা দুটি খাটের ওপর পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় ৭ বছর আগে সালমা বেগমের স্বামী ওলি মিয়া ৮ লাখ টাকা ঋণ করে সৌদীতে যায়। সেই ঋণের টাকা দিনে দিনে বাড়তে থাকে। সেই ঋণের চাপ সইতে না পেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।