দিনাজপুরের বিরলে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও অর্পিত সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশের অপচেষ্টাসহ লীজ গ্রহীতা আব্বাস উদ্দীনকে মারপিট এবং বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জামাল উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম বিরুদ্ধে। সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব প্রদানকারী লীজ গ্রহীতা আব্বাস আলী শান্তিপূর্ণভাবে জমি ভোগদখলে রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দীন এর ছেলে আব্বাস আলী অভিযোগে জানান, ১৪২ নং দক্ষিণ মেড়াগাঁও মৌজার ১১৭ নং খতিয়ানের ১০৩৪ নং দাগে ৪৩ শতক, ১১৮৯ নং দাগে ২৪ শতক ও ১১৯৬ নং দাগে ১১ শতকসহ মোট ৭৮ শতক জমি ভিপি ৯৫৫(২)/৬৬-৬৭ নং কেসে ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ বহি (ডিসিআর) নং ১৫১৫ এর রশিদ নং ০৭৫৭১৮ মূলে গত ০১/১১/২০২৩ তারিখে সরকারি রাজস্ব প্রদান করেন। কিন্তু জামাল উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম বর্ণিত জমিতে বারবার অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করে লীজগ্রহণকৃত জমিতে শান্তি ভঙ্গের অপচেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে দিনাজপুরের বিরল সহকারী জজ আদালতে ৩৯/২০২০ অন্য নং মোকদ্দমা দায়ের করলে নালিশী সম্পত্তিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। তারপরও বিভিন্ন সময়ে জমিতে থাকা ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে আব্বাস আলী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিরল এর নিকট অভিযোগ দায়ের করেন এবং অফিসার ইনচার্জ বরাবরে অভিযোগ দায়েরের পর থানা পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ান এর হেফাজতে আমন ধান কাটা ও মাড়া হয়। জামাল উদ্দীন ও সাইফুল ইসলাম এর অব্যাহত হুমকীতে জীবনের নিরাপত্তা ও চলতি ইরি-বোরো ধান রোপন কার্যক্রমে যেন কোন ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সেজন্য আব্বাস আলী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উল্লেখ্য, জামাল উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম বর্ণিত জমি নিয়ে গত ৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে জেলা দিনাজপুরের বিরল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৩৯/২০২০ অন্য নং মোকদ্দমা দায়ের করলেও গত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে অদ্যাবধি ০১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখেও আব্বাস আলী সরকারি রাজস্ব প্রদান করে ভোগদখলে আছেন। এ ব্যাপারে আব্বাস আলী জেলা প্রশাসক বরাবরে অর্পিত সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।