দিঘলিয়ায় চলতি অর্থবছরের টি আর প্রকল্পের কাজ নয় ছয় ভাবে সম্পন্ন করে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি। উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আত্মসাৎকৃত ইট উদ্ধার হয়েছে। প্রকল্প কমিটির সভাপতিকে জবাবদিহিতার চিঠি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এক সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে টি আর প্রকল্পের আওতায় দিঘলিয়া উপজেলায় জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ব্যাপক প্রকল্প ছাড় দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে সেনহাটি ৯ নং ওয়ার্ডে হোগলার মোড় থেকে আবু সাঈদের বাড়ি পর্যন্ত ইটের সোলিং রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই কাজের পিআইসি মোশাররফ হোসেন কাজটি নয় ছয় করে শেষ করেছেন। সোলিং রাস্তার সংস্কারের নামে রাস্তাটির দু সাইড থেকে এক ফুট করে চাপিয়ে ইটের সোলিং না বিছিয়ে কয়েকটি স্থানে শুধুমাত্র ধুলাবালি দিয়ে নয় ছয় ভাবে সম্পন্ন করে রাস্তার প্রায় সাড়ে তিন শত ইট নিয়ে যায় কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবলীগ নেতার রাস্তা নির্মাণের দুর্নীতির ফিরিস্তির খবর উপজেলা প্রশাসনকে জানান। উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে গিয়ে কাজের অনিয়মের বিষয়ে সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান। এ বিষয় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করে ইট আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কাজের পিআইসির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলায় আত্মসাৎকৃত দেড়শোর মতো ইট পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, টিআর প্রকল্পের কাজের অনিয়মের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কাজের বিল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। দিঘলিয়া উপজেলায় উন্নয়নের নামে উন্নয়ন কাজে অপেশাদারি ঠিকাদারদের আধিক্য চরমে। নানা প্রকল্পের নিরোপেক্ষ তদন্ত হলে এমনি আরো থলের বেড়াল বেরিয়ে পড়তে পারে বলে বিজ্ঞমহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন।