হাজার হাজার মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন কাঠের সেতুটি পুরোটা জুড়েই কাঠ উঠে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু দিন যাবত। কাঠের এই সেতুটি দীর্ঘদিন জোড়াতালি নিয়ে ় সংস্কার করে থাকে কর্তৃপক্ষ ফলে চলাচলের একমাত্র ভরসা। বর্তমানে সেতুটি এমন অবস্থায় পনিনত হয়েছে যে সেতুতে ব্যবহৃত কাঠ পচন ধোরে ঊঠে যাচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রয়োজনে নতুন করে ভাল কাঠ ব্যবহার করে সেতুটি চলাচলের উপযুক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কালীগঞ্জ শহরের হাজার হাজার জনসাধারন প্রতিদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা এই কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। এই সেতুর উপর দিয়ে বাইসাইকেল ও মোটর সাইকেল অবাধে চলাচল করে থাকে। কালীগঞ্জ শহরটি খুবই ব্যাস্ততম শহর যে কারনে সেতুর উপরটিতে চলাচল একটু বেশি। সেতুটির বেহাল দশার কারনে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান থাকলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটি ব্যবহারকারী সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃণ্টি হয়েছে। এমনটা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের প্রান কেন্দ্রে। মাঝে মধ্যে অনেকে নদীর নিচেয় পড়ে যাচ্ছে।
এই কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিদিন সরকারী নলডাঙ্গা ভুষন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোবারব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সলিসুননেছা বালিকা বিদ্যালয়, ফয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আবুবক্কর মকছেদ আলী মহিলা আলীম মাদ্রাসা, শহীদ নুর আলী ডিগ্রী কলেজ, গোহাটা নুরআনী মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে ও তাদের পথ চলার একমাত্র ভরসা। এছাড়া রয়েছে কালীগঞ্জ শহরের সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কাচাবাজার। আবার কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে যাবার প্রধান চণাচলের একমাত্র ভরসা। কালীগঞ্জ শহরের চিত্রা নদীর উপর নবনির্মিত ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় শহরের জনতা মোড় থেকে একটি বাইপাস কাঠের রাস্তা, কাঠের সেতু হয়ে অপর প্রান্তে হাসপাতাল সড়কে গিয়ে মিশেছে। ব্রিজটি নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চিত্রা নদীর উপর অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ছোট একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে জনসাধারনের চলাচলের একমাত্র ভরসার কাঠের সেতু। দুই প্রান্তে রয়েছে চিত্রা নদীর ভাঙ্গনের খানা গর্ত ও অসমতল হওয়ায় চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণের। প্রায় ১৭ মাস অতিবাহিত হলেও ব্রিজের বাইপাস সড়ক ও সেতুজনিত জনদুর্ভোগ কমেনি একটুও। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিয়ম মোতাবেক ১৬ মাসের মধ্যে ব্রিজের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে কাজ শেষ করতে পারেনি। বর্তমানে কাঠের সেতুটির অন্তত ২০ টি স্থানে সম্পূর্ণ রূপে কাঠ উঠে ভেঙে গেছে। অনেক জায়গায় আবার ভাঙা স্থানে লাগানো বড় বড় লোহার তারকাটা আলগা অবস্থায় উঠে রয়েছে। এমনটি অবস্থার মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সেতু ও সড়কটি ব্যবহার করছেন জীবনের মারাত্নক ঝুঁকি নিয়ে। চিত্রা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটির কাজ ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হলেও এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি, কাজটি কবে নাগাদ শেষ হবে তাও তারা বলতে পারছে না। যে কারণে এলাকার সচেতন মানুষ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়সারা কাঠের সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে, বিকল্প পথ দিয়ে চলাচল করতে গেছে অন্ত ২/কিলোমিটার পথ ঘুরে েেযতে ও আসতে হবে। ভাঙ্গা এই কাঠের সেতুর দু,প্রান্তে সন্ধার পর বিদ্যাদের বাতি জালঅনোর নিয়ম থাকলে ও ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ অদ্যবধি কোন আলোবাতির ব্যবস্থা করেন নাই,বলে মানুষের চলাচলে মারাত্নক ঝুেিত পরিনত হয়েছে। এমনকি রাতে ছিনতায়ের ঘটনা ও ঘটেছে। এ খবর প্রচার হওয়ার পরে পুলিশ কিছুদিন পাহারা দিত।
বর্তমান কাঠের সেতুর যে বেহালদশায় পরিনত হয়েছে তাতে করে কোনো সময় যে কেউ বড় ধরনের দুর্ঘটনা শিকার হতে পারেন। কাঠের সেতু ব্যবহারকারী প্রধান শিক্ষক আজমল হাসান(টিপু). মকবুল হোসেন তোতা, সংাবাদিক হুমাউন কবির, শিপলু জামান জানান, সেতুটির প্রতিটি কাঠ পচন ধোরেছে এই কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করা মারাত্নক ঝুকিতে পরিনত হয়ে পেড়েছে। অনেক স্থানে পাটাতনের কাঠ ভেঙে পড়েছে যাবার কারনে সেতুর উপরে ফাকা হয়ে গেছে অন্তত ২০টি স্থানে। তবুও জনসাধারন ও শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হবে এ কারনে তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিনিয়িত চলাচল করছে। কাঠের এই সেতুটি জরুরি ভাবে নির্মান করা অতিব জরুরি বলে সচেতন মহল মনে করেন।
কালীগঞ্জ পৌর ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, ভাঙা এই কাঠের সেতু দিয়ে চলাচল করতে মানুষকে জূবনের মারাত্নক ঝুতি নিয়ে চলাচল করতে হচেছ। বিশেষ করে কালীগঞ্জ বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণের চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সেতুদিয়ে চলাচল বন্ধ করতে হবে অথবা দ্রুত মেরামত করতে হবে,এমনটা রাখালে জানমাল ও জনসাধারনের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। কালীগঞ্জ ব্যবসায়ি সমিতির পক্ষ থেকে একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে ব্রিজটি দ্রুত নির্মান করার জন্য কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।
কালীগঞ্জ শহরের প্রান কেন্দ্র দিয়ে যাওয়া চিত্রা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার কনসিক অ্যান্ড বিল্ড লিমিটেডের সাইট পরিচালক আরিফ হোসেন জানান, নির্মাণ কাজ ৯০ শতাংশের বেশি কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে জনসাধারনের চলাচলের পথসুগম করবো।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি দ্রুত সংস্কারের জন্য আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ব্যাক্তিগত ভাবে বলেছি। আশা করি তারা সেতুটি চলাচল করনে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিবেন।