রাজশাহীর পুঠিয়ায় বানেশ্বর-ঝলমলিয়া দুই হাটে ভেজাল খেজুর গুড়ে সয়লাব হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তেমন একটা শীত এখনো পরিনি। কিন্তু হাটের দিনে শতশত টন চিনি মিশ্রিত ট্রাক ভর্তি করে খেজুরের গুড় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীরা বলছেন, বেশিরভাগ গুড়গুলোই চিনি মিশ্রিত করে তৈরি করার হয়েছে। এ অঞ্চল তেমন একটা শীতের প্রভাব দেখা দেয়নি। কিন্তু এক শ্রেনির অসৎ ব্যবসায়ীদের ইন্দনে গুড় উৎপাদনকারীরা সামান্য খেজুর রসের ভেতরে বেশিরভাগ চিনি মিশিয়ে গুড় উৎপাদন করছে। খেজুর গুড়ের স্বাদ নেই কিন্তু সামা একটু গন্ধ আছে। মকবুল হোসেন নামে ঝলমলিয়ার এলাকার ব্যক্তি বলেন, যেসব খেজুর গুড় চাষির প্রতিদিন ৫ কেজি করে গুড় উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে তারা উৎপাদন করছে ২০ কেজি করে। উপজেলার শনি,মঙ্গলবার বানেশ্বর হাটবার। আর সোম ও বৃহস্পতিবার ঝলমলিয়া হাটবার। প্রতি সপ্তাহে দুই হাটে প্রায় শতশত টন গুড় কেনাবেচা হয়ে থাকে। হাট বাজারের মোদিখানা দোকানগুলিতে ভেজাল খেজুর গুড় তৈরি করার জন্য খুচরা বিক্রেতারা হুড়াহুড়ি করে চিনি কিনতে দেখা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিনি পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন,আগে আমরা প্রতিদিন পাঁচ/দশ বস্তার বেশি চিনি বিক্রি করতে পারতাম না। কিন্তু এখন দোকান খোলার আগেই খুচনা বিক্রেতা এবং মোদিখানা দোকানদারা এসে চিনি কিনার জন ধরনা দিয়ে বসে থাকছেন। জেলার ভেতর খেজুর গুড়েরের সর্ববৃহৎ আড়ত হচ্ছে, ঝলমলিয়া ও বানেশ্বর হাট। শীত মৌসুম শুরু হলে বাঘা চারঘাট উপজেলা জুড়ে শতাধিক আড়ত গড়ে উঠে। হাট-বাজারসহ প্রতিদিন সকাল থেকে ওই আড়ৎগুলোতে খেজুরের গুড় কেনাবেচা হয়ে থাকে। অপরদিকে বাঘা উপজেলার আড়ানি এলাকায় অর্ধশতধিক ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। ভেজালগুড়গুলি পুঠিয়ার বানেশ্বর ও ঝলমলিয়া হাটের দিন মোকামে তারা বিক্রি করে থাকেন। আড়ৎদার আমির হোসেন বলেন, হাটে আসা বেশিরভাগ খেজুরের গুড়ে মাত্রারিক্ত চিনি মেশানো রয়েছে। ঝকঝকে রং না হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারা বেশি দামে গুড় কিনে না। চিনি মিশানো গুড় র্দীঘদিন আড়ৎতে কিংবা বাসা-বাড়িতে পড়ে থাকলে এর রং নষ্ট হয় না। কালো রংগের গুড় শহরের লোক পছন্দ করে না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, কি মাত্রা গুড়ে চিনি রয়েছে। তা বলা কঠিন। ভেজাল হয়ে থাকলে,এটা দেখার দায়িত্ব রয়েছে। ভোক্তা অধিকার এবং বিএসটিআইয়ের।