আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় আহবানকৃত বিএনপির কর্মসূচীতে যোগদান করতে বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশী নেতা-কর্মী প্রস্তুতির খবর পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে দলটির স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে কর্মসূচীতে যোগদানের সংখ্যাটির তথ্যটিতে বিস্তর গড়মিল পাওয়া গেছে। ঢাকায় আহবানকৃত বিএনপির কর্মসূচীতে যোগ দিতে মাত্র দুই হাজার নেতা-কর্মী প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জেলা কমিটির অন্যতম এক নেতা জানালেও অপর এক নেতা বলছেন মাত্র ৫০০ জন অংশ নেবে। আর কর্মসূচীতে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকা জামায়াত-শিবিরের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় শীর্ষ নেতারা মুখ না খুললেও পাওয়া গেছে অবাককরা কিছু তথ্য। যে তথ্যের সত্যতা গভীরভাবে নিশ্চিত হতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রেখেছন ‘প্রতিদিনের সংবাদ’। আর একই দিন রাজধানীতে ডাকা আওয়ামী লীগের কর্মসূচীতে রাজশাহী থেকে অংশগ্রহণ ছাড়াও অন্যান্য প্রস্তুতির বিষয়ে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা বুধবার সন্ধ্যায় জানান, ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্ন কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে আমাদের ১ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় চলে গেছে। এই কর্মসূচীকে ঘিরে কোন দল বা গোষ্ঠি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে শক্ত হাতে তাদের প্রতিহত করা হবে। বুধবার বিকেলে ‘প্রতিদিনের সংবাদ’ প্রতিবেদক কে বিএনপির রাজশাহী জেলা কমিটির অন্যমত সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করবো। আর ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচীতে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকা জামায়াত-শিবিরের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তাদের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. এরশাদ আলী ঈশা বলেন, মহানগরের পক্ষ থেকে ৫০০শ’ নেতা-কর্মী অংশ নেবে। আর এমন কর্মসূচীকে ঘিরে পুর্বের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবহনের সমস্যার কথা বিবেচনায় ইতিমধ্যেই রাজশাহী থেকে ছাত্র দল ও যুবদল মিলে ৫০০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর বুধবার সন্ধ্যায় জামায়াতের রাজশাহী জেলা পশ্চিমের এসিস্ট্যেন্ড সেক্রেটারী ওবাইদুল্লাহ বলেন, গনতান্ত্রিক অধিকার থেকেই এই কর্মসূচীতে আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি থাকবে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনকালে অন্যায়ভাবে কোন প্রকার বাঁধা দেওয়া হলে দলের তাৎক্ষনিক সীদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কোন বিস্তারিত না বলে জানান, সময়ই কথা বলবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বুধবার সন্ধ্যায় বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে, সেই পাঁয়তারার দাঁতভাঙা জবাব দেবার জন্য আওয়ামী লীগ সারাদেশে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রাজশাহীও তার ব্যতিক্রম নয়। আমি রাজনৈতিক কারণে আজ (বুধবার) ঢাকায় যাচ্ছি। ঢাকায় উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ হবে, সেখানে অংশগ্রহণ করবো। তবে রাজশাহীকে অরক্ষিত রেখে যাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়, কাজলা ও বিনোদপুর এলাকা এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিরোপয়েন্ট থেকে শুরু করে রেলস্টেশন, কোর্ট চত্বর, লক্ষ্মীপুর চত্বর এবং তালাইমারি চত্বরসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ২৮ তারিখে দিনব্যাপী আমাদের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করবে। যদি কোথাও কোন অস্থিরতা করেছে বা রাজশাহীতে কোন কিছু করার পাঁয়তারা করছে, তাহলে দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে তা রুখে দিবে।