মৌলভীবাজারের জুড়ী-বড়লেখাসহ সিলেটে বিভাগের বিভিন্ন উপজেলার গ্রাহকের প্রায় ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৬ বছর ধরে উধাও ভিলেজ ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (ভিডিএন) নামক বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম (৫০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সিলেটের শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছে বড়লেখা থানা পুলিশ। আবদুল হাকিম বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম হাতলিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, আবদুল হাকিম বড়লেখা থানার চেক জালিয়াতিসহ ১০টি মামলার সাজা পরোয়ানাসহ মোট ১৩টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী। তার স্ত্রী আছমা বেগমের বিরুদ্ধে দুটি মামলার সাজা পরোয়ানা রয়েছে। আদালতের রায়ের পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড়লেখা থানার এএসআই মো.আবু তালেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বুধবার ভোরে সিলেট শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবদুল হাকিম ও তার স্ত্রী আছমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেন।
জানা গেছে, ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (ভিডিএন) নামক বেসরকারি সংস্থা ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত হিসেবে হাতিয়ে নেয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই আমানতের মেয়াদপূর্তিতে লভ্যাংশসহ গ্রাহকদের ৯০ কোটি টাকারও বেশি পরিশোধের কথা। কিন্তু গ্রাহকদের লাভ দেওয়াতো দুরের কথা, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় মুলধনসহ উধাও হয়ে যান প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম, এমডি আয়াজ আলীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হলে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান ১২টি সাজা পরোয়ানাসহ মোট ১৫টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি আবদুল হাকিম ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আসামিদের মৌলভীবাজার জেল হাজতে পাঠানো করা হয়েছে।