চিরিরবন্দরে প্রেমের সম্পর্কের জেরে স্বামী পরিত্যক্তা আইরিন আকতার আলো নামে এক যুবতীকে হাত পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে পরিত্যক্ত ড্রেনে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ঘটনার মূল হত্যাকারি শাহাজুল ইসলাম তারিফ নামে এক যুবককে আটক করেছে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত সেনাসদস্য শাহাজুল ইসলাম তারিফ পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ঝলঝলি এলাকার মোঃ আনারুল ইসলামের ছেলে আর হত্যার শিকার আইরিন আকতার আলো চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের নদীরপাড় এলাকার মোঃ আলম হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, হত্যার শিকার আইরিন আকতার আলো স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের সাথে। একপর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘনঘন বিয়ের চাপ দিতে থাকায় এ নিয়ে আলো ও শাহাজুলের পরিবারের মধ্যে কয়েকদফা সালিস বৈঠকও হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আলম হোসেন বাদি হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে হত্যাকারিকে দ্রুত আটক করা হয়। মামলা নং ২০, তারিখ ১৬-১০-২০২৩, ধারা ৩০২/২০১/৩৪।
নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ১৬ অক্টোবর সোমবার রাতে পাশ্ববর্তি চাচার বাড়িতে পিকনিক খেতে গিয়ে গভীররাত পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬ টায় রানীরবন্দর এলাকার ওয়েসিস স্কুলের পিছনের ড্রেনে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরন করে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বজলুর রশিদ বলেন, এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকান্ড ছিল। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে সনাক্তের পর আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে আক্রোশের বশে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাকে বুধবার সন্ধার পুর্বেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।