সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভা এলাকার নক্ষীকোলা সড়কের নির্মিত সেতুর দুই পাশের রেলিং দীর্ঘ দিন ধরে ভেঙ্গে থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ। সংস্কার না করায় আতঙ্কে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারীরা। রেলিং ছাড়া সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়তিই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামত করার দাবি পথচারী ও স্থানিয়দের। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, রায়গঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওর্য়াডের লক্ষীকোলা জুমা পাড়া সেতুর দুই পাশের রেলিং না থাকায় ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে আছে। সেতুটির বিষয়ে স্থানীয় লক্ষীকোলা জুমা পাড়ার আবদুল বাছেদ সরকার, ডাঃ আবদুস ছালাম, সোহেল রানা সহ অনেকে জানান, এই সেতুটি ২৫ বছর আগে নির্মিত হলেও দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে অনেক আগে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন এই এলাকার প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষের যাতায়াত। দুই দিকের রেলিং না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। কয়েক দিন আগেও সাইকেল চালক সেতু থেকে নিচে পরে আহত হয়। অটোরিকশা চালক মজিবর, মালেক, রাশেদ, হযরত বলেন, সেতুর দুই দিকে রেলিং না থাকায় খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এই সেতুর ওপর একটা অটোরিকশা উঠলে আর কোনো গাড়ী যেতে পারে না। দশম শ্রেণির শিক্ষারর্থী সাবিনা খাতুন ও আশিক আহম্মেদ বলেন, সেতুর দুই দিকে রেলিং না থাকায়। একটি গাড়ী সেতুতে উঠলে আমরা খুব ভয়ে পার হই। রায়গঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুলাহ আল পাঠান বলেন, লক্ষীকোলা জুমা পাড়ার ঝিনাইগাড়ী-দহের উপর সেতুটি খুব ঝুঁকিপুর্ন। সেতুটি এলজিইডির হেড কোয়াটার থেকে পরির্দশন করে গেছে। এখানে বড় একটা সেতু হবে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, এই সেতুর বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে।