খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষ্ণনগর এম,বি,বি,এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় গত শনিবার সন্ধ্যায় স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অভিযোগকারী শিক্ষক ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে; এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতিবছর ব্যাংকে ৬'শ টাকার স্ট্যাম্পে কমিটি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর করানোর জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বপন বিশ্বাস কে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ করেছে।
ওই বিদ্যালয়ের কক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিচরণ হালদার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সহকারী শিক্ষক মহেশ্বর হালদার বলেন, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপকালে সভাপতি মহোদয় টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করে আমাকে বলেছেন, তোমরা যে দশ হাজার টাকা দিয়েছিলে, আমি তা নিয়েছি। তবে আমি কোন লিখিত দেইনি। তাছাড়া সভাপতি কর্তৃক বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের গালিগালাজ ও হুমকি ধামকির কথাও তুলে ধরলে সভাস্থলে তুমুল বাক-বিতন্ডা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অপর সহকারী শিক্ষক প্রসেঞ্জিৎ মল্লিক বলেন, বর্তমান সভাপতি স্বপন বিশ্বাস এডহক কমিটিতে আসার পর থেকে যাকে তাকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়ে আসছেন। আর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিচরণ হালদার বলেন, সভাপতি মহোদয়ের দাবিকৃত ১০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫৯০ টাকা করে নিয়ে উনাকে দিতে বাধ্য হয়েছি। অন্যথায় সভাপতি ডিডে স্বাক্ষর করতে চাননি। তবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বিদ্যালয়ের সভাপতি স্বপন বিশ্বাস বলেন, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের অনিয়ম ও স্বেছাচারিতার বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। উল্লেখ্য শিক্ষকদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সভাপতির পক্ষের লোকেরা উত্তেজিত হয়ে সভার মধ্যে দফায় দফায় চিল্লাচিল্লি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে একপর্যায়ে সভা প- হয়ে যায়। খবর পেয়ে রঘুনাথপুর ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্হলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ প্রসঙ্গে রঘুনাথপুর পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক মোঃ মাসুম বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর শুনে সেখানে ফোর্স পাঠিয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।