প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম হতে স্বস্তি পেতে কে না চায়। মানুষ গরু বাছুর ছাগল ভেড়া সবায়। তাই তো বুধবার (২৬জুলাই) দুপুরে সরিষাবাড়ি উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চর বালিয়া গ্রামের পাশে দিয়ে বয়ে য়াওয়া স্রােতস্বিনীর শীতল ধারায় একটু শান্তি পেতে একপাল মহিষ ঝিনাই নদীর পানিতে নেমে পড়ে। তারপর দীর্ঘক্ষন পানিতে ডুবে ডুবে নিজেদেরকে গরম হতে রক্ষা করে।
মহিষ পালের রাখাল আনোয়ার হোসেনর কাছে জনতে চাইলে তিনি বলেন, এই মহিষের পালে ১শত ৫০ টি মহিষ আছে। তম্মধ্যে ২০টি গাভী মহিষ আছে। প্রতিদিন দুধ দেয় প্রায় ১ শত লিটারের অধিক যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায ৭ হাজার টাকা। তারা ছাড়া এই পালে দেড়মত মহিষের দাম কম করে হলেও ২ কোটি টাকা উপরে হবে।
রাখাল ফজল মিযা জানান, তবে বর্তমানে মহিষ পালান লাভ জনক ব্যবসা হলেও মাঠে ঘাটে বিচরন করা কষ্ট দাযক। এই প্রচন্ড রোদ ও তাপদাহের কারেণ মাঠে ঘাস নেই। যা কিছু আছে তাও রোদের তাপে মরে গেছে। মাসের পর মাস বৃষ্টি নেই এলাকায়। ঘাস জন্মাবে কেমন করে বলুন। মহিষ পালন করা যেমন একদিকে আনন্দ ও লাভ জনক ব্যবসা তেমনি খরচ আছে প্রচুর। রাখালদের সারা বছর মাইনে দেয়া, মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়ানো, তিন বেলা খাদ্য যোগান, খড় খইল, ভুষি এ গুলোর পিছনে প্রচুর খরচ হয।
রাখাল তোরাফ আলী জানান, আমরা এই উপজেলা মহিষাবাদুড়া গ্রাম থেকে এসেছি। সারা বছর এ গ্রাম থেকে সে গ্রাম এ চর হতে অন্য এক চরে ঘুরে বেড়াই। যেখানে ঘাসের সন্ধান পাই সেখানেই ছুটে যাই মহিষের বাতান নিয়ে। মহিষের পানলের মালিককে মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি জানান, আমি জীবন ভরেই এই পেশায নিয়োজিত। লাভ লোকসান দুই ভাই। একবার লাভ হবে আবার লোকসান হবে। তাছাড়া ব্যবসায় লাভ করতে হলে কষ্ট তো করতেই হবে। কষ্ট করলেই কৃষ্ট মিলে।