প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর পাড়ে শুক্রবার সকাল থেকে রেনু বিক্রির উৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি রেনু স্হান ভেদে ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ডিম সংগ্রহকারী ও রেনু বিক্রিতা জানান, এই বছর হালদা নদীতে শেষ তিথিতে গত রোববার মাছ ডিম ছেড়েছে। শেষ জোতে ডিম ছাড়লে ও এবার নদীতে আশাতীত পরিমাণ ডিম ছেড়েছে। ডিম থেকে রেনু ফোটানোর পর্যাপ্ত হ্যাচারী ও কুয়া না থাকায় অনেক ডিম আহরনকারী ডিম সংগ্রহ না করে নদী থেকে উঠে এসেছে। পর্যাপ্ত ডিম পেয়ে ডিম আহরনকারীর খুশী হয়েছে। এদিকে হ্যাচারীতে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত ডিম থেকে রেনু ফোটাতে গিয়ে মদুনাঘাট ও শাহ মাদারী হ্যাচারীতে বেশ কিছু ডিম নস্ট হয়ে গেছে বলে ও জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। শাহ মাদারীর হ্যাচারীর তদারককারি মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান তিনি শুক্রবার ৭ কেজির মত রেনু বিক্রি করেছেন বলে জানান। মধ্যম মার্দাশার ডিম সংগ্রহকারী আশু বড়ুয়া গতকাল জানান তিনি তার পুকুরে দেড় কেজি রেনু দিয়েছেন। আর প্রায় ৮ কেজি বিক্রি করেছেন। তিনি সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করেছেন বলে উল্লেখ করেন। গড়দুয়ারার ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর জানান, তিনি গতকাল দেড় কেজি রেনু বিক্রি করেছেন। তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন বলে জানান।