দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা চলতি আমন মৌসুমে ১৫হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বসতবাড়ী, কলকারখানা নির্মাণ করার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর ১১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ কম হচ্ছে বলে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমে ১৫হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ মাত্র নিধার্রণ করা হয়েছে। বীজ তলা ৭৬০একর জমিতে আমনের বীজ রপন করছেন কৃষকেরা।
এই সব জমিতে উফশিজাত, হাইব্রিড জাত এবং স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হবে। কৃষকেরা জানান চলতি মৌসুমে প্রচন্ড খোড়া ও তাপদাহর কারণে তুলনা মূলক বৃষ্টি হয়নি। সেচ দিয়ে কৃষকেরা বীজতলা তৈর করছেন। এদিকে পর্যক্ষেক মহল মনে করেন শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত কাহারোল উপজেলা প্রায় ১১ হেক্টর ফসলি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন বসত বাড়ী, ও কলকারখানা নির্মান সহ নানা কারণে আবাদি জমি কমে যাওয়ায় আগামীতে এই অঞ্চলে ধান উৎপাদন কিছুটা কম হবে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মল্লিকা রানী সেহান বীশ জানান সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকেই কৃষি জমিতে স্থাপনা করায় কিছু আবাদি জমির পরিমান কমেছে। তবে চলতি রোপা আমন মৌসুমে আবাহাওয়া অনুকুলে থাকলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকেরা চাষাবাদ করলে আশা করি রোপা আমন আবাদের বামপার ফলনের আশা রয়েছে।