দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা ও বাড়ির মালিকেরা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। তবে ভারত থেকে গরু না এলে এবার কাহারোল উপজেলার খামারিরা লাভবান হবে বলে আশা করছেন। ভালো দামের আশায় খামারিরা কোরবানির বাজার ধরার জন্য এসব পশু নিবির ভাবে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কাহারোল উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ৩৮২টি খামার ও পারিবারিক ভেরা ও ছাগল পালন করছেন খামারিরা ও পারিবারিকভাবে। উপজেলায় ১৭২৬১টি গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ১৪৮১৫টি। গত বছর থেকে চলতি বছর উপজেলায় কোরবানির পশু পালন বেশি হয়েছে যা এই উপজেলায় কোরবানির পশু চাহিদা মিটিয়ে ২৪৪৬টি রাজধানি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় জেলায় ও শহরে সরবরাহ করা হবে। উপজেলার হাই হেচারীর ব্যবস্থাপক মোঃ আবদুল হাই জানান, তিনি এবার ৪টি গরু ৭লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন। গরুর দাম ভালো থাকলেও গো-খাদ্য ও শ্রমিকের দাম বেড়েছে কয়েক গুন। ফলে গরু পালনে অন্য বারের চাইতে বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বলেয়া গ্রামের খামারি আবদুল হালিম। তিনি বলেন, আমার খামারে যে গরু রয়েছে বর্তমানে দাম অনুযায়ী লাভ হবে। তিনি আরো বলেন সরকারি ভাবে ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ করতে না পারলে খামারিদের ব্যপক লোকসানে পরতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা গরু মোটাতাজাকরনে ব্যপক সফল। তারা সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন অন্য পেশা ছেড়ে গরু মোটাতাজা করণের কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছেন।
কাহারোল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রায়হান আলী বলেন, আমরা গরু -ছাগল পালন খামারিদের দেশিয় খামার খাওয়ায়ে মোটাতাজাকরণে ট্রেনিং দিয়েছি যাতে তারা প্রাকৃতিক ভাবে গরু ছাগলের মোটাতাজাকরণ করতে পারে। ট্যাবলেট জাতীয় ঔষুধ ব্যবহার না করে। প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা আরো বলেন, প্রাণী সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে সরবদায়ি তাদেরকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হয়। গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির পশু রয়েছে বেশি। যা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে খামারিরা দেশের রাজধানি ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতে পারবেন।