যশোরের ঝিকরগাছায় পৃথক দুটি ঘটনায় স্বামীর উপর অভিমান করে দুই গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। এদের মধ্যে একজন হলেন পুরন্দরপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের স্ত্রী শিরিনা বেগম (২২) এবং হাড়িয়াদেয়াড়া গ্রামের প্রবাসী টিপুর স্ত্রী মিম্মা খাতুন শিখা (২৭)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত অনুমান দুইটার দিকে ঝিকরগাছা পৌর সদরের পুরন্দরপুর বিহারী পাড়ার ইজিবাইকের চালকের লাইনম্যান সোহাগ হোসেনের স্ত্রী শিরিনা বেগম (২২) নিজ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের ভাই রমজান আলী অভিযোগ করেছেন-তার বোনের জামাই পরকিয়ায় আসক্ত হওয়ায় স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকতো। সে কারণে আমার বোনকে হত্যা করে তারা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চায়। এদিকে সোহাগ হোসেন ও তার পরিবারের দাবি তার স্ত্রী নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে থানার উপপরিদর্শক সুমন বিশ্বাস জানান, ময়নাতদন্তের পরে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
অন্যদিকে সোমবার রাতে একই উপজেলার মালয়েশিয়া প্রবাসী ঝিকরগাছা ইউনিয়নের হাড়িয়াদেয়াড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে মিম্মা খাতুন শিখা (২৭) স্বামীর উপর অভিমান করে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঝিকরগাছা পৌরসভার এর কৃষ্ণনগর মাঠপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে টিপুর সাথে নিম্না খাতুন শিখার বিয়ে হয়। স্বামী বিদেশ থাকার কারণে মিম্মা খাতুনের পিতার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। পরিবারের সূত্রে জানা যায়, রাত আটটার দিকে স্বামীর সাথে মিম্মা খাতুনের মোবাইলে কথা হয়। এরপরে সে আত্মহত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর উপর অভিমান করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার উপপরিদর্শক মোখলেসুজ্জামান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর প্রেরণ করা হয়েছে রিপোর্ট হাতে পেলেই বোঝা যাবে ঘটনার প্রকৃত রহস্য।
বিস্তারিত জানতে ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ এবং কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল ১১) লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর আড়াইশো শয্যা হাসপাতালে প্রেরণের পরিস্থিতি চলছিল। কোন মামলা হয়নি বলেও জানা গেছে।