ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক নারী সহকারী অধ্যাপকের সাথে অসদাচারণের অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারী জে এম ইলিয়াসকে প্রণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।
জানা যায়, গত ১৪ মে ওই সহকারী অধ্যাপকের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে আইসিটি মেলের কর্মচারী জে এম ইলিয়াসের সাথে ফোনে কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কর্মচারী জে এম ইলিয়াসের সাথে জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রীর সাথে কেনো অসদাচারণ করা হয়েছে বলে ফোনে কথা বলে। ইলিয়াসের অভিযোগ তখন মুঠোফোনে জাহাঙ্গীর আলম তাঁকে প্রাণনাশের এ হুমকি দেন।
ইলিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১২ মে ওই সহকারী অধ্যাপকের গাড়ির চালক শিক্ষক পরিচয়ে আমাকে ফোন করেন। আমি ব্যক্তিগত কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় শনিবার (১৩ মে) গিয়ে ওই শিক্ষিকার বাসার ওয়াই-ফাই সংযোগ ঠিক করে দেই। এ ছাড়া ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড তাদের দিয়ে আসি। পরে বিকেল বেলা তিনি আমাকে ফোন করেন এবং সন্ধ্যায় গিয়ে আমি তার ইন্টারনেট সংযোগ আবারো ঠিক করে দেই। এ সময় তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং আমার খোঁজ খবর নেন।’
ইলিয়াস আরো বলেন, ‘১৪ মে বিকেলে ওই শিক্ষিকার স্বামী বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি পরিচয় দিয়ে ফোনে আমাকে হুমকি প্রদান করেন। এ সময় তিনি আমাকে প্রণনাশের হুমকি দেন। এ ছাড়া তিনি আরো বলেন আমি আমার স্ত্রীর পেছনে মাসে ৫ লাখ টাকা ব্যয় করি আর তুমি তার সাথে বাজে ব্যবহার করেছো। তোমাকে আমি দেখে নেব। এ ছাড়া ডিবি পুলিশ দিয়ে এবং সরকারি গানম্যান দিয়ে আমাকে তুলে নেয়ার হুকমি দেন তিনি। পরে আমি বিশ্ববিদ্যায় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই এবং ইবি থানায় জিডি করি।’
এছাড়া গত সোমবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারী কর্তৃক হামলাচেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে তিনি নিজের নিরাপত্তার দাবি করেন।
এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক উম্মে সালমা লুনার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'ইলিয়াস একজন কর্মচারী হয়ে আমি একজন নারী সহকারী অধ্যাপক আমার সাথর খারাপ ব্যবহার করেছে। আমার অনলাইন ক্লাসসহ গবেষণার কাজে ইন্টারনেট বাসায় প্রয়োজন হয়।গত শুক্রবার থেকে সমস্যা হওয়ায় আমার ড্রাইভার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মচারীকে ডাকে। কিন্তু তিনি সেদিন আসেন না। পরবর্তীতে আমি ফোন দিলে বলে আমি শুক্রবারে কারো ফোন ধরিনা। তখন আমি বলি শনিবার। পরে আমার সাথে অসদাচরণ করেন।'
তিনি আরো বলেন, 'আমার হাসবেন্ড তার স্ত্রীর সাথে কী হয়েছে তা জানতে ওই কর্মচারীকে ফোন করেছিলেন। তখন সে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেছে। এ বিষয় নিয়ে আমার স্বামীও তার ওপর রেগে আছে। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছি, তারা এ ঘটনায় ইলিয়াসকে বহিষ্কার করেছে।'