চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বউয়ের চিকিৎসা করতে এসে লাঞ্ছিত হয়েছেন গোমস্তাপুর (রহনপুর) উপজেলা পোস্ট মাষ্টার মু.হযরত আলী। এ ছাড়া তাঁকে টয়লেটে আটকের অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই পোস্ট মাষ্টার ডাক বিভাগের মাধ্যেম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মেসবাহুল হকসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করেছেন। ওই কপি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রহনপুর পৌরসভা,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা,বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ স্থানীয় প্রেসক্লাবে অনুলিপি দিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলা পোস্ট মাষ্টার মু. হযরত আলী শনিবার সকাল সোয়া এগারোটায় দিকে তাঁর বউয়ের আঙ্গুলের চিকিৎসার জন্য গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যান। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মেসবাহুল হক তাঁর বউয়ের চিকিৎসা শেষে ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। ব্যবস্থাপত্রে ১ নং ওষুধটি নাম অস্পষ্ট থাকায় পোষ্ট মাষ্টার তাঁর কাছে ওই ওষুধটির নাম মৌখিকভাবে জানতে চান। কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জানান এবং ফার্মেসী থেকে জেনে নিতে বলেন। পুনরায় তাঁর কাছে ওষুধের অস্পষ্ট নামটি জিজ্ঞেস করলে একই জবাব দেন। পরে মোবাইল ফোনে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মেসবাহুল হকের ওই বক্তব্য রেকর্ড করতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ওই সময় পোস্ট মাষ্টার ও তাঁর বউয়ের উপর চড়াও হন তাঁরা। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে লাঞ্ছিত করে। পরে জরুরি বিভাগের টয়লেটে আটকে রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে তাঁর চিৎকারে পরিচিত লোকজন এসে সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। ঘটনার শিকার উপজেলা পোস্ট মাষ্টার বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে ওষুধের নাম জানতে তাঁকে ও তাঁর বউকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। এমনকি টয়লেটে তাঁকে আটক করে পুলিশের ভয় দেখান। এদিকে তিনি রেজিস্টার্ড চিকিৎসক না হয়েও তাঁর বউয়ের সার্জারী করেছেন। এ ঘটনায় তিনি সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে দোষী মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মেসবাহুল ও সহযোগীগের বিচার জেলা সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করেছেন। পোস্ট মাষ্টার লাঞ্ছিতর ঘটনা অস্বীকার করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মেসবাহুল হক বলেন, ওই সময় জরুরি বিভাগে প্রচুর রোগী ছিল। তাঁর স্ত্রীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম বারবার জিজ্ঞেস করেন। অতিরিক্ত রোগী থাকার কারণে তাঁকে ফার্মেসী গিয়ে জেনে নিতে বলেছি। কিন্তু তিনি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করতে থাকলে এর প্রতিবাদ করি। তবে অন্য কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হক বিষয়টি জানেন। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল হামিদ বলেন অভিযোগের একটি কপি রোববার হাতে পেয়েছি। অভিযোগটি সিভিল সার্জন বরাবর করা হয়েছে। বিষয়টি সিভিল সার্জন দেখবেন। প্রয়োজন হলে তদন্ত করবেন। তদন্ত পর তিনিই ব্যবস্থা নিবেন। অভিযোগের বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.এসএম মাহমুদুর রশিদ মুঠো ফোনে বলেন,অভিযোগটি এখন হাতে পাননি বলে তিনি জানান।