কাদাঁয় পড়ে আছে মৃত একটি বন্য হাতির মরদেহ। ৬ মে শনিবার শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তের কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামে একটি ধান ক্ষেত থেকে মৃত বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। বনবিভাগ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে ওই হাতি মারা গেছে। আজ দুপুুরেই ময়না তদন্ত শেষে হাতিটিকে সেখানেই মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাবারের সন্ধানে আসা একদল হাতি কয়েকদিন ধরে ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম কাংশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ধান ক্ষেতের ফসলের মাঠে হানা দিচ্ছিল। শনিবার রাতে ৩০-৩৫টির একটি হাতির দল দুই থেকে তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে পূর্ব ও পাশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের ধান ক্ষেতে নেমে পড়ে এবং বোরো পড়িয়ে মাড়িয়ে খেয়ে ধান বিনষ্ট করে। খবর পেয়ে বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের একদল বনকর্মী গভীর রাতে বাকাকুড়া গ্রামে যান। পূর্ব বাকাকুড়া গ্রামে হাতি তাড়ানোর সময় তারা খবর পান পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামেও একদল হাতি ধান ক্ষেতে হানা দিয়েছে।
রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার মকরুল ইসলাম জানান, পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামে যাওয়ার পর তারা দেখতে পান এক পাল উন্মত্ত হাতি স্থানীয় নুহু মিয়ার ধান ক্ষেতের একপাশে দাঁড়িয়ে বিকট শব্দে চিৎকার করছে। অনেক চেষ্টার পর ভোর বেলা হাতির পাল ওই এলাকা ত্যাগ করে। পরে ধান ক্ষেতের কাদা পানিতে গিয়ে তারা একটি হাতিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। মৃত হাতিটি মাকনা এবং এর বয়স প্রায় ৩-৪ বছর। লম্বায় ১২-১৪ ফিট হবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, হাতির মরদেহ ময়না তদন্ত করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ৬ মে পর্যন্ত শুধু রাংটিয়া রেঞ্জে হাতির আক্রমণে প্রাণ গেছে ৪ জনের। আর আজ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল এক বন্য হাতির।