কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দাম হোসেন (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাদ্দাম হোসেন উপজেলার গোছামারা গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলমের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশের সহযোগীতাই সোমবার রাত আড়াইটার দিকে প্বার্শবর্তী জাফরনগর গ্রাম থেকে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে রোববার রাতে সাদ্দামকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে আসামি সাদ্দামকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায় সে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ রোববার রাতে ৪ জনকে এবং সোমবার দিনে ১জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একটি নারী নির্যাতন মামলার দেড় বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিল সাদ্দাম হোসেন। তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ রোববার রাত আড়াইটায় গোছামারা গ্রামে সাদ্দামের বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় তার পরিবারের ৭/৮ জন সদস্য পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সাদ্দামকে ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পালাতে সহযোগীতা করে বলে পুলিশের অভিযোগ। রোববার রাতে সাদ্দাম পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন সোমবার বিকেলে তার চাচা আলী হোসেনকে আটক করে তার তথ্যমতে এদিন রাতে উপজেলার জাফরনগর গ্রাম থেকে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন জানান ঘটনাটি দুঃখজনক। তিনি অভিযোগ করে বলেন ঘটনার সাথে তার চাচা আলী হোসেন জড়িত নয়। পুলিশের অনুরোধে সাদ্দামকে ধরতে সহযোগীতা করতে আমি আলী হোসেনকে অনুরোধ করি। তার সহযোগীতায় পুলিশ সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করেছে। অথচ পুলিশ তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে গ্রেপ্তার করল যা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে থানায় ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ তাকে ধরতে গেলে পরিবারের সদস্যরা আসামি সাদ্দামকে পালাতে সহযোগীতা করে। চাচা আলী হোসেনকে পুলিশ এ্যাসাল্ট মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করে। তিনি বলেন ঘটনায় আলী হোসেন জড়িত না থাকলে মামলাটি তদন্ত করে চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।