কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতির বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ১লক্ষ ২৫হাজার ১৮০টাকা। তিনি ৩৪মাস যাবত তার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন না। বার বার নোটিশ করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেন নাই। বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমান আদালত তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ বিভিন্ন এলাকার ৯টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এর মধ্যে ভোগপাড়া মহল্লার ম্যানেউল আলম মাসুদ এর ৩২ মাসে বকেয়া ১৪ হাজার ৪১২টাকা, মো: তানভীর আহমেদ এর ১৭ মাসের বকেয়া ২১ হাজার ৩২৫ টাকা, আচমিতা ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের এবিএম রায়হান সরকার এর ৩ মাসের বিল ৮১ হাজার ৫৯৮টাকা, তেরগাতি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ৬৪ মাসের বকেয়া ৫৬হাজার ৬৮৩ টাকা, মসূয়া ইউনিয়নের আলামিন এর ১২ মাসের বকেয়া বিল ৬৮ হাজার ৭৪৫টাকা, মুমুরদিয়া ছাইফুল ইসলামের ১১ মাসের ২হাজার ৩৩৪টাকা এবং শহীদুল্লাহ দুলাল এর দুটি মিটারে ১লক্ষ৩৫ হাজার ৩৯০টাকা। ৯টি মিটারে মোট বকেয়ার পরিমান ৫লক্ষ ৫ হাজার ৩৫১ টাকা। দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান। এ সময় কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি কটিয়াদী জোনাল অফিসের ডিজিএম সোহরাব হাসান, এজিএম মো: আশেকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সহযোগিতা করেন মডেল থানার পুলিশ ও আনসার সদস্যগণ।
কটিয়াদী জোনাল অফিসের ডিজিএম সোহরাব হাসান জানান, যাদের দীর্ঘদিন যাবত নোটিশ করার পরও বকেয়া বিল পরিশোধ করছেন না ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণ অব্যাহত থাকবে। ঘন ঘন লোড শেডিংএর ব্যাপারে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোড শেডিং দিতে হচ্ছে। তবে লোড শেডিং কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।