দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের প্রসাদপুর, রামপুর ও মুকুন্দপুর গ্রামে এবং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সরঞ্জা, নয়াবাদ মিত্রবাটী ও ঈশানপুর গ্রামে অবস্থিত বিভিন্ন লিচু বাগান গুলোতে মধু উৎপাদন বাড়াতে বাগানে মধু চাষীরা বসিয়েছেন মৌ বাক্স। সেখান থেকে দল দলে মৌ মাছি ঝাক বসছে লিচুর মুকুলে। উপজেলায় মুকুল থেকে মধু সংগ্রহে বর্তমানে ব্যস্ত মধু চাষীরা। গাছের নীচে নীচে সারি বদ্ধ করে মৌ বক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন সুস্বাধু মধু। আর খাঁটি মধু পেয়ে বাগানে ছুটছেন এলাকাবাসী লাভবান হচ্ছেন লিচু চাষী ও মৌ চাষীরা। গতকাল উপজেলার বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা যায় বাগানগুলোতে লিচুর ভাল মুকুল এসেছে। আর ভাল মুকুল আসায় মৌ বাক্সের লিচুর মুকুল থেকে মধু জমা করছেন এক দল মৌ চাষী। তাদের মধ্যে একজন চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার অপর গুলি হচ্ছে টাঙ্গাইল, নওগাঁ ও সিরাগঞ্জের। গতকাল নয়াবাদ গ্রামে লিচুর বাগানে গিয়ে দেখা যায় পাঁচ শত মৌ বক্সে মুকুল থেকে মধু জমা করছেন এই দলটি। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বসানো কাঠের ফ্রেম বের করে মধু সংগ্রহ যন্ত্রে রেখে পরিস্কার পাত্রে মধু রাখছেন। কাহারোল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় একশত চল্লিশ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হচ্ছে এর মধ্যে পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে এগার শত মৌ বক্স বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলায় আট হাজার একশত কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ মল্লিকা রানী সেয়ানবীশ মনে করেন, মধু সংগ্রহের মাধ্যমে লিচুর পরাগায়নের ফলে লিচুর ভাল ফলন পাওয়া যাবে। মৌ চাষী মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, কাহারোল উপজেলায় প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা মধু বিক্রয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।