চিরিরবন্দরে দুইটি ইউনিয়নে ভিজিডির চুড়ান্ত তালিকায় নাম থাকার পরেও চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে ভিজিডির কার্ড আটকিয়ে রাখার অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নশরতপুর ইউনিয়নের মোছাঃ জিন্নাতুনের দেয়া অভিযোগপত্রে জানা গেছে, ভিজিডির চুড়ান্ত তালিকায় নাম থাকলেও চেয়ারম্যান তার কার্ড আটক করে দিয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের অন্য ৫ জন। এ বিষয়ে নশরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব শাহকে মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেন নি।
ভিয়াইল ইউনিয়নের খেড়কাটি গ্রামের ময়েনদ্দীন বলেন, ভিজিডির চুড়ান্ত তালিকায় আমার নাম থাকার পরেও চেয়ারম্যান আমাকে কার্ড ও দেয়নি আমাকে চালও দেয়নি। চুড়ান্ত তালিকায় নাম থাকার পরেও আমাকে চালের কার্ড দেয়া হয়নি।
একই ই্উনিয়নের দামইর গ্রামের ময়নুল বলেন, সবাই ভিজিডির চাল পেলেও আমি চাল পেলাম না। আমার কার্ড চেয়ারম্যান আটক করে রেখেছে। আমাদের কার্ডে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নাকি আপত্তি আছে।
এ বিষয়ে ভিয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক শাহ বলেন, আমরা সবাইকে কার্ড দিয়েছি। শুধুমাত্র ১৩টি কার্ড আমরা পরিষদ থেকে নির্বাচন করি নাই। ওগুলো অনলাইনের মাধ্যমে এসেছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসারের সাথে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খালিদ হাসান বলেন, আমার কাছে শুধুমাত্র নশরতপুর ইউনিয়ন থেকে একটা অভিযোগ এসেছে। অভিযোগটির আলোকে তদন্ত করে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের ১৩ জন ও নশরতপুর ইউনিয়নের ৬ জন সহ অন্তত ২০ জন দিনমুজুর গরীব অসহায় পরিবার সরকারের দেয়া ভিজিডির চাল পায়নি।