দিনাজপুর পৌরসভাসহ তিনটি ইউপির ২৮৫টি হত-দরিদ্র পরিবারকে স্বাবলম্বি করার জন্য প্রতিজনকে ১৮হাজার ৩৩৩টাকা করে মোট ৫২লক্ষ ২৪হাজার ৯০৫ টাকা এককালীন প্রদান করা হচ্ছে। শর্ত হিসেবে প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা গাভী-ছাগল, হাস-মুরগি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য এই অর্থ আয় বৃদ্ধির কাজে বিনিয়োগ করবে তারা। বৃহস্পতিবার দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এরিয়া প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে এবং ইন্টিগ্রেটেড লাইভলিহুড টেকনিক্যাল প্রোগ্রামের আওতায় পারিবারিক আয় বৃদ্ধিতে শর্ত সাপেক্ষে অর্থ সহায়তা কর্মসূচীর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী।
এসময় দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী বলেন, একজন মায়েই পারে একটি সুন্দর জাঁতি উপহার দিতে। হত-দরিদ্র মানুষের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ভিশন যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করি। হত-দরিদ্র উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে স্বাবলম্বি করার কাজ করে যাচ্ছে তারা। যা ভবিষ্যতে ওয়ার্ল্ড ভিশন না থাকলেও তারা নিজেরাই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কর্ম করে খেতে পারবে। দিনাজপুর এসিও, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেস্টার গমেজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলতাব হোসেন, জেলা ভেটেরিনারী কর্মকর্তা ড.আশিকা আকবর তৃষা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ গোলাম কিবরিয়া। আলট্রা-পর প্রোজেক্ট মডেল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট লাইভলীহুড প্রজেক্টের টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম অফিসার কাজল কুমার দে। এ ব্যাপারে সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেস্টার গমেজ বলেন, দিনাজপুর পৌরসভার ৬৫জন, আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৭০জন, শেখপুরা ইউনিয়নের ৫৫জন, চেহেলগাজী ইউনিয়নে ৭৫জন ও শশরা ইউনিয়নে ২০জন হত-দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিকাশ খরচসহ মোট ৫২ লক্ষ ২৪হাজার ৯০৫ টাকা এককালীন অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিকাশ কর্ণার এর মাধ্যমে প্রদানকৃত অর্থ পরিবারের সদস্যরা সাথে সাথে উত্তোলন করেন উপকারভোগীরা।