পাপুয়া নিউ গিনিতে অপরাধী চক্রের হাতে জিম্মি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্রাইস বার্কারসহ সবাই ছাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। “নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করায় পিএনজি’র (পাপুয়া নিউ গিনি) সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,” গতকাল রোববার টুইটারে ওং এমনটাই লিখেছেন বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান। পিএনজি-র প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, মুক্তি নিশ্চিতে তার সরকার কোনো ধরনের মুক্তিপণ দেয়নি। “অপরাধীদের প্রতি, অপরাধ করে কোনো লাভ নেই। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে জীবন সুরক্ষিত রাখা গেছে,” ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন তিনি। মারাপে ফেইসবুকে বার্কারসহ মুক্ত দুইজনের ছবিও দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে পিএনজির দুর্গম এলাকায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হওয়াদের মধ্যে যে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ডের প্রত্নতাত্ত্বিক অধ্যাপক বার্কারও ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তা আগেই নিশ্চিত করেছিল। এই অধ্যাপকের সঙ্গে আরও তিন স্থানীয় গবেষককে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী ধরে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ চেয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং। তিনি বন্দুকধারীদের ‘সুযোগসন্ধানী’ এবং পরিস্থিতিকে ‘নাজুক’ বলেও অভিহিত করেছিলেন। জিম্মি করার কয়েকদিনের মধ্যেই এক স্থানীয় গবেষককে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি তিনজনের মুক্তির বিষয়টি গতকাল রোববার জানা গেল। নিউ জিল্যান্ডের নাগরিক বার্কার এখন অস্ট্রেলিয়াতেই থাকেন; তিনিই পাপুয়া নিউ গিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গাইডদের নিয়ে মাউন্ট বসাভির কাছে গবেষণা চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষণা চলাকালেই গতকাল রোববার সশস্ত্র অপহরণকারীরা তাদের জিম্মি করে। “পাপুয়া নিউ গিনি থেকে সব জিম্মির মুক্তির যে খবর এসেছে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি, ছাড়া পাওয়ার শিগগিরই তাদের পরিবারের সঙ্গে একত্র হবেন। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জিল্যান্ডের যে কর্মকর্তারা এজন্য সহায়তা করেছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি,” টুইটারে লিখেছেন ওং। জিম্মি মুক্তির ঘটনায় পুলিশ, সেনা ও প্রাদেশিক নেতাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন মারাপে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তরা ‘এখন একটি নিরাপদ জায়গায় আছেন’, বলেছে নিউ জিল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়।