দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বসন্তের আগমনে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুুকুল। শীতের শেষে বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি যেন সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্যে। চারদিকে ফুলে ফুলে যেন ভরে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি আমের মুকুল ছড়াচ্ছে ঘ্রাণে।
কাহারোল উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার আম বাগান ও বাড়ির পাশে আমারে গাছে বিপুল পরিমানের আমের মুকুলের সমারোহ ঘটেছে। মুকুলের ভাড়ে গাছের ডালপালা নুয়ে পরেছে। ছোট বড় গাছগুলিতে বেশি মুকুল আসতে শুরু করেছে। আমের মুকুল যে পরিমানে আসছে, অনেকে মনে করছেন এবার আমের ফলন বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার রামচন্দ্রপুর, সরঞ্জা, নয়াবাদ, শাইনগর, ভাতগাঁও, রামপুর, ডহন্ডা, পানিশাইল, ইশাইল, ভাবরদিঘী, বুলিয়াসহ গ্রামগুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেন অপরূপ রং ছড়াচ্ছে।
মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকজনের মধ্যে বইছে আনন্দ। অনেকেই মুকুল রক্ষা করার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছেন কেউ কেউ গাছের যতেœ মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। আমের মুকুল আসছে, তাই এখন মৌমাছির গুনজন মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে। গাছের প্রতিটি শাখা প্রশাখা ভ্রমরের ব্যঞ্জনা। বছর ঘুরে আবারো তাই ব্যকুল হয়ে উঠেছে আমপ্রেমীদের মন।
কাহারোল উপজেলার ডাবর ইউনিয়নের ডহচি গ্রামের আম বাগানের মালিক মোঃ আবদুল খালেক জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে বেশ কিছুদিন আগে থেকে মুকুল আসা শুরু করেছে গাছে। প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি এবং কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বালাই নাশক স্প্রে করছি। কাহারোল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট বড় মিলে ২০০টির অধিক আম বাগান রয়েছে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহান বীশ জানান মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝড়ে পরে আমের ফলন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আম গাছে ফুল আসার ১৫দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাছন্ন আবাহাওয়া থাকলে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে। এই ব্যাপারে কৃষকদের সর্তক করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি এ বছর আমের ফলন ভালো হবে।