বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে পরিকল্পনা নিয়েছে যা আজকের শিক্ষার্থীরাই গড়ে তুলবে। একটি শিক্ষিত দেশই পারে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে। তাই শিক্ষিত দেশে পরিনত করতে শিক্ষার উপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে এ দেশ হবে উন্নত দেশের কাতারে। তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর আজকের শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা যে আধুনিকতার ছোঁয়া লক্ষ্য করি তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। এখন ঘরে বসেই স্কুল কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যাবতীয় কাজ করা যায়। পরীক্ষার ফলাফল মুহুর্তের মধ্যে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে জানা যায়। অনলাইনে ক্লাস করে পড়ালেখা করা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে এগুলো সম্ভব হয়েছে।
শনিবার দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তিকৃত ছাত্রীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আগে শতকরা ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বই কেনার অভাবে ঝড়ে পড়তো। প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়। এতে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যায়। গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একটি দেশকে উন্নত করতে হলে শিক্ষিত জাঁতি দরকার। প্রধানমন্ত্রী সকলের শিক্ষা নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফরিদা পারভীন-এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোঃ সাইফুদ্দিন এমরান, গনিত বিভাগের সহকরি অধ্যাপক একেএম রশিদুল হাসান মানিক, শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, ছাত্রী আতিকা ইশরাক আর্চি, তাজ কেরাতুন নুর ঝর্ণা প্রমুখ।
এর আগে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন কলেজের বিএনসিসি ক্যাডেটের ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে নবীন ছাত্রীদের বরন করে নেয়া হয়। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজে উন্নয়ন বাবদ ৫০শতক জায়গা পুর্নউদ্ধার ও সীমানা প্রাচীর নির্মান বরাদ্দ ২০লাখ টাকা, ক্যান্টিন নির্মান ২০লাখ টাকা বরাদ্দ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মান ৮লাখ টাকা বরাদ্দ, হোস্টেল মেরামতসহ স্যানিটারি ব্যবস্থা করে দেওয়া বরাদ্দ ১২লাখ টাকা, প্রিন্সিপাল কোয়াটার মেরামত ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ, সীমানা প্রাচির উঁচুকরন বাবদ বরাদ্দ ১২লাখ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা কর্নার নির্মান ১২লাখ টাকা বাদ্দ, ব্যবসায়িক ও শিক্ষা ভবন ২য় তলা সম্প্রসারন কাজ বরাদ্দ ৩৫লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কলেজের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।