বুধবার সকালে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের দাবীতে যশোর - বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা উপজেলা মোড়ে ৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৭ প্রতিষ্ঠান মানববন্ধন করে। প্রায় ৪ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং সাংবাদিক এ মানববন্ধনে অংশ নেন। বেলা ১১ টায় মানববন্ধন শেষ হওয়ার ৩ ঘন্টার মধ্যে উপজেলার মোড়ে কাভার্ড ভ্যানগাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ব্যবসায়ি মাসুম বিল্লাহ রনির (২২) প্রাণ গেল। তিনি কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে।
বুধবার সকাল সাড় ১০ টায় যশোর - বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা উপজেলার মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়ে শেষ হয়ে ১১ টায়। উপজেলা মোড় থেকে হাসপাতালের সংযোগ সড়ক এর মধ্যে স্পিড ব্রেকার অথবা আন্ডারপাস অথবা ফুট ওভারব্রিজ স্থাপন করা এবং হাসপাতাল সংযোগ সড়কের মুখে শতবর্ষী শিশু গাছ অপসারণ এর দাবীতে ঝিকরগাছা সেবা সংগঠন, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাব, ঝিকরগাছা দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, ঝিকরগাছা বি এম হাইস্কুল, ঝিকরগাছা সরকারি এম এল হাইস্কুল, ঝিকরগাছা বি এম প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাছিম বিল্লাহ শিশু একাডেমির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনকালে ৪ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকদের এবং সাংবাদিকদের নিকট উপস্থিত হন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সচিব আবদুল লতিফ খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। তারা উপস্থিত হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্পিড ব্রেকার নির্মানের আশ্বাস দেন। এর ৩ ঘন্টার মাথায় যশোর - বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা উপজেলা মোড়ে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় মোটর পার্টস ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
প্রতক্ষদর্শী আশরাফুজ্জামান বাবু জানান - অনুমান ২ টার দিকে উপজেলার মোড়ে বেনাপোলগামী যাত্রীবাহী বাস ওভারটেক করতে যায় বেনাপোলগামী মোটরসাইকেল চালক মাসুম বিল্লাহ রনি (২২)। বেনাপোলগামী আরেকটি কাভার্ড ভ্যান গাড়ী মোটরসাইকেলটিকে (যশোর ল ১১-৯৯০২) ওভারটেক করতে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যান গাড়ী এবং যাত্রীবাহী বাসের মাঝখানে পড়ে যায় মোটরসাইকেল আরোহী। এরপর নাসির গ্রুপের কাভার্ড ভ্যান গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক মাসুম বিল্লাহ রনির (২২) মারা যান। তিনি কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। যশোর বেনাপোল মহাসড়কের নাভারন মোড়ে দুলাভাই হুমায়ুন কবিরের সাথে যৌথ মোটর পার্টসের দোকান রয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বি এম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ বলেন - আমরা ৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ৭ প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সাংবাদিক সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে স্পিড ব্রেকারের মানববন্ধন করেছি। এর ৩ ঘন্টার মধ্যে একজনের মৃত্যু বড়ই কষ্টের।
এ ব্যাপারে বিকাল সাড়ে ৪ টায় নাভারন হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন - ঘাতক কাভার্ড ভ্যান গাড়ির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। সড়কে নিহত রনিকে কেউ নিতে আসেনি। থানায় মামলা হয়নি।