প্লাস্টিকের ভয়াবহতা ও পরিবেশ রক্ষার আহবান নিয়ে ভারতের ২৭টি রাজ্য ঘুরে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের এক যুবক। তার নাম রোহান আগারওয়াল। গত ১৫ অক্টোবর ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্ত দিয়ে পায়ে হেঁটে তিনি বাংলাদেশে আসেন। গত ২০২২ সালে তিনি এই চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে রওনা হন। রোহান আগারওয়াল জানান, এই যাত্রায় আমি ১৫ হাজার কিলোমিটার হেঁটেছি এবং কখনও কখনও লিফটও নিয়েছি। আমি ৯০ দিনে ভারতের ২৭টি রাজ্য এবং বাংলাদেশের ৩৩টি জেলা কভার করে ৮৬০ দিনেরও বেশি ভ্রমণ করেছি।
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, এই যাত্রা শুরু করার মূল উদ্দেশ্য হল প্লাস্টিকের বিপদজনক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেওয়া। আমি অনেক স্কুল এবং ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছি এবং তারপর আমি সাইবেরিয়ার ওমিয়াকোমে হেঁটে যাব। যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৭২ ডিগ্রি এবং এটি পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল স্থান। আমার আশা আমিই দক্ষিণ এশীয় হিসেবে প্রথম স্থলপথে সেখানে পৌঁছাব। সাইবেরিয়া যাওয়ার পথে আমি আরও ৫ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার ২০টি দেশ অতিক্রম করার ইচ্ছে আছে।
রোহান জানান, বিগত ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসিতে গঙ্গা নদীর তীর থেকে পায়ে হাঁটা শুরু করি। সেখান থেকে তিনি নিজ দেশের রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, চ-িগড়, হিমাচল, উত্তরাখ-, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, কর্ণাটক, কেরালা ও গোয়া সহ ২৭টি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবহুল এলাকা, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন পর্যায়ে প্লাস্টিক-পলিথিনের ক্ষতিকারক দিক ও ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতামুলক প্রচারনা চালিয়েছি। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার আহবান জানিয়েছি।
জানাগেছে, গত বছরের ৮ অক্টোবর ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেন। তারপর পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ ৩৩টি জেলায় প্রচারনা চালান। এদিকে সোমবার রাতে দিনাজপুরের হিলিতে আসেন রোহান। এসময় তিনি হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টিকের কুফল সম্পর্কে প্রচারনা চালান। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে রোহান জানান, নাগপুরে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। পরিবারে তার মা-বাবা ও ছোট বোন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পৃথিবীটা শুধু মানুষের জন্য নয়। প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্যও পৃথিবী। তাই পরিবেশের বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। এটা সব মানুষের দায়িত্ব। বাংলাদেশের যেখানেই গেছি, সেখানকার স্কুল-কলেজে গেছি, বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে গেছি। সবাইকে পরিবেশের সুরক্ষার কথা বলেছি। বাংলাদেশের মানুষ আন্তরিক ও ভালো।