দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ৬০ বস্তা কৃষি প্রণোদনার বোরো ধানের বীজ আটক করেছে স্থানীয় জনগন। গত ২ জানুয়ারী সন্ধার পর উপজেলা স্টেশন রোডস্থ সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে ভ্যান বোঝাই বীজের বস্তা গুলো আটক করা হয়। এ ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে বিনামুল্যে সরবরাহ করার জন্য আনা বীজগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে ভ্যানযোগে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ভ্যানসহ ৬০ বস্তা বোরো ধানের বীজ আটক করে। এ সময় ভ্যানচালকদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদে তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বললে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে সংবাদ দেয়া হয়। সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুনাল্ট চাকমা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মালগুলো জব্দ করে থানা পুলিশের হেফাজতে দেন। গত ৩ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খালিদ হাসান উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু সরফরাজ হোসেন খানকে প্রধান করে সহকারি কমিশনার (ভূমি), উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং ৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা শারমিন বলেন, গত কয়েকদিন থেকে পর্যায়ক্রমে উপজেলার ৫ হাজার ২৩৫ জন কৃষককে বোরো আবাদের জন্য প্রণোদনার বীজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার ছিল বীজ বিতরণের শেষ দিন। যথারীতি কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে বিকেল পাঁচটায়। কৃষকরা যার যার মত মালামাল নিয়ে চলে গেছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ জানান, সংবাদ পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্যানচালকসহ ৬০ বস্তা বীজ জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তিতে ভ্যানচালকদের তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুনাল্ট চাকমা বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা মোতাবেক আটককৃত ধানের বীজের বস্তাগুলো কৃষি অফিসের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খালিদ হাসান বলেন, তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন পেলে নীতিমালা অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য গত কয়েক বছর যাবত দলীয় বিবেচনায় উপকারভোগী নির্বাচন করার ফলে অনেকে বীজ সংগ্রহ করে গোপনে বিক্রি করছেন।