যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলা আ'লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুলের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধাগণ আওয়ামী লীগের সভাপতির শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লাঞ্ছনার শিকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার, মুক্তিযুদ্ধ কালীন ফিল্ড কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, ঝিকরগাছা উপজেলা পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে গত মঙ্গলবার বিজয় দিবস উৎযাপিত হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে আসার সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও তার সহযোগিরা আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে আমাকে মারতে উদ্যত হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন - ১৯৭১ সালে রাজাকারের দোসর ছিলেন রাশেদ আলী। তারই পুত্র ১৯৯১ সালে বিএনপির সহ- সভাপতি ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম মুকুল। তিনি বর্তমানে ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও তার সহযোগীরা মিলে মুক্তিযোদ্ধাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করেছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুকুলসহ লাঞ্ছিত কারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনের আগে ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ডে একটি মানববন্ধন করেন ঝিকরগাছা উপজেলার ৬০/৭০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মানববন্ধন শেষে বক্তব্য রাখেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান তোতা, আবদুল কাদের, গোলাম মোস্তফা, ইদ্রিস আলি, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের খুলনা বিভাগীয় প্রচার সম্পাদক শাওন রেজা খোকা সহ আরো অনেকে।