দারিদ্রতা দাবিয়ে রাখতে পারেনি উর্মি খাতুনের পড়ালেখা। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এলাকা-বাসীর তাক লাগিয়ে দিয়েছে উর্মি।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর কলেজ পাড়ার হত দরিদ্র দিন মুজুর অহেদ আলী ও গৃহিনী সাহিদা বেগমের কন্যা উর্মি খাতুন। সে সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমি’র ছাত্রী। ওই বিদ্যালয় থেকে উর্মি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ছিলো। উর্মি’র পিতা অহেদ আলী বলেন, আমি পড়াশুনা জানিনা। তাই বড় সখ ছিলো আমার তিন ছেলে মেয়েকে লেখা পড়া শিখাবো কিন্তু অভাবের কারণে পারিনী। দুই ছেলে বেশ কয়েক বছর স্কুল ছেড়ে এখন পরের জমিতে দিন মুজুরের কাজ করে। আর মেয়ে উর্মি নিজ চেষ্টাই এখনো পড়াশুনা করছে। এবার সে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তিনি বলেন উর্মি পড়াশুনায় খুব ভাল। তাকে কখনো প্রাইভেট পড়াতে পারিনী। সে সারাক্ষণ বই নিয়েই পড়ে থাকে। পড়া বুঝতে সমস্যা হলে নিজ চেষ্টায় স্কুলের স্যারদের কাছ থেকে সে জেনে নিতো। এখন স্কুলের পরীক্ষা শেষ। সামনে কলেজে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু আমি কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা।
উর্মি খাতুন বলে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে যথেষ্ট সহযোগীতা করেছে। আর এ সহযোগীতা পেয়েই সে ভাল রেজাল্ট করতে পেরেছে। সুযোগ পেলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভাল একজন মানুষ হওয়ার পাশাপাশি সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাড়াতে চাই সে।
সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমি’র সিনিয়র শিক্ষক চৌধুরী আফছার উদ্দীন বলেন- উর্মি খাতুন বিদ্যালয়ের একজন ভীষণ মেধাবী ছাত্রী ছিল। তিনি বলেন- উর্মি অর্থনৈতিকভাবে সহযোগীতা পেলে সে তার লক্ষে পৌঁছাতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। প্রতিবেশী বাবু মিয়া বলেন, মেয়েটির পিতা অহেদ আলী অতি দরিদ্র। আমি যতটুকু পারি তাদের জন্য করে থাকি। মেয়েটির (উর্মি) ইচ্ছে শক্তির কারণে সে আজ পড়ালেখায় ভাল ফল করতে পেরেছে। এ ধরণের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সহযোগীতা দরকার