মৌলভীবাজারের রাজনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্মেলনের ৩ বছর পর এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।
কমিটিতে আজাদ মিয়া চৌধুরী (ঈমানী মিয়া) কে সভাপতি এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখতকে সাধারণ
সম্পাদক করা হয়েছে। গত ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই মিয়াকে সভাপতি ও মনসুরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখতে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের আংশিক কমিটি দেয়া হয়েছিল। পরে মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই মিয়া ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করলে সাধারণ সম্পাদক একাই নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের রাজনৈতিক
কর্মসূচী বাস্তবায়নে কাজ করে আসছিলেন। সভাপতির মৃত্যুজণিত কারণে ও সাংগঠনিক কাজে গতিশীলতা আনতে নির্বাাচনের আগেই নতুন করে সভাপতির
শূণ্য পদ পূরণসহ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমানের স্বাক্ষরিত এই কমিটি প্রকাশ করা হয় বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন। দলীয় প্যাডে ২০২১ সালের ২৭ মে তারিখ উল্ল্যেখ করা হলেও মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে পদ পেয়েছেন যারা :সহসভাপতি পদে আবদুল ওয়াহিদ বাচ্চু, জহিরুল ইসলাম মুয়ুুব, ফয়ছল আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছয়ফুল আলম, ফজলু খাঁন, আজিজুর রহমান খাঁন (তছকির), মাহমুদুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, ফরজান আহমদ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বদরুল হোসেন, সাহেদুজ্জামান আনছারী মনাই, ছালেক মিয়া। আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বনমালী নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহিম দে মধু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ডিপলু, দপ্তর সম্পাদক আনকার খাঁন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল জলিল শাহীন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেজাউল করিম সোহেল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান কমরু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পারভীন আক্তার বখত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সজল চক্রবর্তী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাহ পাবলু, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমদ (কামারচাক), শ্রম সম্পাদক শ্যামলাল কালোয়ার মুকুজিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দূর্গা দেব, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নজমুল হক সেলিম, এহতেশামুল হক সাজ্জাদ, শামছুদ্দোহা রুকন। সহ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, কোষাধ্যক্ষ শহীদ বকস। সদস্য পদে মবশ্বির মিয়া, সামছুর নূর আজাদ, মো. শাহজাহান খাঁন, গণি মিয়া, বশারত আলী, সাইদুল ইসলাম বাচ্চু, আবদুল মুকিত, দিগেন্দ্র চন্দ্র সরকার (চঞ্চল), সাদিকুর রহমান, ছাতির মিয়া, টিপু খাঁন, সিরাজুল ইসলাম ছানা, শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক, নকুল চন্দ্র দাশ, আকমল হোসেন, আবদুর রহমান মনা, মিরফাজ মিয়া, রাজা মিয়া, এম. সোহেল আলম (উত্তরভাগ), জাহেদ আহমদ (ফতেপুর), হোসেন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল দাশ, আবদুল মনাফ, লুৎফুর রহমান লেবু, মিজানুর রহমান, নাইওর মিয়া, আছাব আলী, লিয়াকত আলী, আলী নেওয়াজ, মাহমুদ মিয়া, মিছবাহুর রহমান মিছবা, আবদুল লতিফ, আবদুর রকিব সুমন, জুনেদ হোসেন কুটি, রেনু মিয়া।এদিকে দীর্ঘদিন পর কমিটিতে স্থান পেয়ে আনন্দিত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ১৯৯৪ সালে সর্বশেষ এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের কমিটি হয়েছিল। তৎকালীন অনেক ছাত্র ও যুব নেতারা দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়ায় হাতাশ ছিলেন। ২৮ বছর পর দল এবারের কমিটিতে তাদের মূল্যায়ন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন নতুন পদ পাওয়া অনেক নেতা।নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদুজ্জামান আনছারী মনাই বলেন, ১৯৯৮-২০০০ সালে ছাত্র রাজনীতি শেষ করার পর কোনো দলীয় পদে ছিলাম না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে ধারণ করে ও দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে যথাসাধ্য কাজ করেছি। দল আমাকে
মূল্যায়ন করেছে। আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ।এ ব্যাপরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত বলেন, একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ কমিটি গোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে ত্যাগী, তরুণ, নিবেদিত প্রাণ ও
যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমি আশা করি ও বিশ্বাস করি রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন ও জনগণকে দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে
কাজ করবে। এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান,উপজপলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টেংরা ইউনিয়নের তিন বাবের বর্তমান চেয়ারম্যান টিপু খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও মনসুরনগর ইউনিয়নের তিন বারের সাবেক চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান কমিটিতে মুল্যায়ন না হওয়ায় তাদের নেতৃত্বে তৃনমূলের একাংশ নেতাকর্মী অসন্তোষ জানিয়ে কমিটি প্রত্যাখান করেছেন।