দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আগাম জাতের আলুর ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষীরা। সকাল হতে বিকাল পর্যন্ত আলু চাষীরা শ্রমিক নিয়ে জমিতে আলুর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন আলুর ক্ষেতে শীত আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা আগাছা পরিষ্কার আলুর গাছের সারিতে মাটি তুলে দেওয়া ও সারি বাধানো এবং রাসয়নিক সার ব্যবহার করছেন।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় ২৩৭৮ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করে ২৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষকেরা।
উপজেলার ইটুয়াগ্রামের কৃষক আবদুল হান্নান জানান, তিনি এবার ২একর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছিলেন। প্রতি কেজি আলু বিক্রি করেছেন ৩২ টাকা দরে। খরচ বাদ দিয়ে ভালো দাম পেয়ে লাভ হয়েছে। ঐ জমিতে তিনি ভূট্টা চাষ করছেন। অপর দিকে একই উপজেলার নয়াবাদ গ্রামের নবিন কান্ত জানান, তিনি ৫০শতক জমি আলু চাষ করেছেন। আর অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে আলু তুলতে পারবেন। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম ভালো থাকায় এবার লাভের আশা করছেন তিনি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম আবদুর রহিম বলেন, আলু চাষের জন্য কাহারোল উপজেলার মাটি উপযোগী হওয়ায় প্রান্তিক চাষীরা আলু চাষে প্রতি ঝুকে পড়েছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু জাফর মোঃ সাদেক জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত আলু ক্ষেতে তেমন রোগ বালায়ের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে না। কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে আলুর ক্ষেত সারাক্ষন দেখভাল করছেন। আলুতে পচন ও পোকার আক্রমণ ঠেকানোর পদ্ধতি কৃষকদের জানানো হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন।