দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন হাট-বাজার গ্রামগঞ্জে লেপণ্ডতোষকের কারিগরদের মাঝে ব্যস্ত সময় পার করছে। লেপণ্ডতোষক প্রস্তুতকারী দোকানিরা এখন কারিগরদের নিয়ে মালামাল তৈরীতে ব্যস্তদিন পার করছেন। শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মালিক, শ্রমিক এখন তুলা ধনার, লেপণ্ডতোষক তৈরী শেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তারা জানান শীত মৌসুমের শুরুতেই ক্রেতারা দোকানে পছন্দমতো লেপণ্ডতোষক অর্ডারদিয়ে রেখেছেন।
উপজেলার সদর তোষক ব্যবসায়ী জলিল জানান, বর্তমানে ভালোমুনাফা এবং বেশি বিক্রির আশায় দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। ক্রেতারাও লেপণ্ডতোষক তৈরীর জন্য ভিড় করছেন দোকানে। তবে এবার তুলার দাম অনেক বেশী। বর্তমানে কালার তুলা প্রতি কেজি ৫০টাকা, মিশালী তুলা-৪০টাকা, শিমপল তুলা ১০০টাকা, শিমুল তুলা-৪৫০টাকা ও সাদা তুলা-৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপণ্ডতোষক তৈরী বেশী হয় এবং বিক্রিও বেশী হয়। উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০টি দোকান রয়েছে। দোকানদার সাহাজাহান জানান, শীত শুরু হতে না হতেই তাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কারিগর হাসান জানান, তারা ৪-৫ হাতের একটি লেপ ২ ঘন্টার মধ্যে তৈরী করে দিতে পারেন। লেপণ্ডতোষক দোকানদারদের মালিকেরা জানান শীত মৌসুমে প্রতিটি দোকানে ১৫০ হতে ২৫০টি লেপণ্ডতোশক ও জাজিম কেনা বেচা হয়।
কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ হাটে ক্রেতা কহিনুর বেগম জানান, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছে কাঁথা শেলাই করে নিজেদের পরিবারের শীত বস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। কারণ মধ্যবিত্ত পরিবার ২ হাজার থেকে ২হাজার ৫শত টাকা দিয়ে একটি লেপণ্ডতৈরী করা সম্ভব হয় না।