লাখো ভক্ত ও পূন্যার্থীদের সমাগমের মধ্য দিয়ে বুধবার শুরু হয়েছে উপমহাদেশের মধ্যে অন্যতম কাউখালী শ্রী গুরু সংঘ কেন্দ্রীয় আশ্রমের ৫ দিন ব্যাপী রাস উৎসবের মিলন মেলা। সারা দেশ সহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তরাও এ উৎসবে সমবেত হয়েছে। শ্রী গুরু সক্সঘ কেন্দ্রীয় আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীমদ্ দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের ১৩১ তম আবির্ভাব উপলক্ষে ০৯ নভেম্বর বুধবার শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর রোববার পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। শ্রীগুরু সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি স্বামী জগন্নাথানন্দ সরস্বতী বুধবার আশ্রম অঙ্গনে সংঘ পতাকা উত্তোলণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা করেন। এরপর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় আশ্রম প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।পাঁচ দিনের উৎসবে মঙ্গল আরতি, শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা ও গুরুগীতা পাঠ, বস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সরকারি হাসপাতালে দুঃস্থ রোগীদের মধ্যে ফল বিতরণ, সান্ধ্যকালীন প্রর্থনা, ধর্ম সভা ও গীতি আলেখ্য ইত্যাদি। ১৩ নভেম্বর সমাপনী দিনে গুরুপূজা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গনে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে রঁস মেলা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বসেছে নানা রকমের দোকানপাট। রকমারি জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। পাহাড়ী কাঠের নকশায় গড়া আকর্ষণীয় আসবাবপত্র নিয়ে দূর দূরান্ত থেকে দোকানীরা এসেছে এই মেলায়। শীতের গরম কাপড়, শিশুদের বিনোদনেরও অনেক খেলনা সামগ্রীতে জমে উঠেছে এ উৎসব অঙ্গন। প্রতিবছর রাসপূর্ণিমায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নাগরদোলা সহ শিশুদের বিনোদনেরও অনেক খেলনায় জমবে আনন্দমেলা। কাঠ ফার্নিচারের দোকান বসেছে উৎসবের অনেক আগে থেকেই। এদোকানগুলো চলবে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর আরও এক মাস পর্যন্ত। আশ্রম সভাপতি স্বামী জগন্নাথানন্দ সরস্বতী ও সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত এ উৎসব সফল করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন তথা রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ আগত সকল ভক্ত বৃন্দসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ইতোমধ্যে রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রশাসন কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।