দেশের একমাত্র দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানাকে বাঁচাতে গ্যাস সরবরাহ জরুরী হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের ২১ জুন সংকটের অজুহাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৪ মাস উৎপাদন বন্ধ থাকায় যমুনার সার কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার ২২ সেপ্টেম্বর সকালে যমুনা সারকারখার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) আয়োজিত মানব বন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে যমুনা সার কারখানার প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে।
কারখানার একটি সূত্র জানায় ,দেশের বৃহত্তম সার কারখানায় (জেএফসিএল) ৪মাস ধরে বন্ধ থাকায় সার উৎপাদন বন্ধও রয়ে গেছে। আগামী দৃ‘এক মাসের মধ্যে উৎপাদনে যেতে না পাররে সার কারখানার অধিকাংশ যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমোনিয়া ট্যাংকে গ্যাসের ল্যাভেল দ্রুত নেমে যাচ্ছে। নির্ধারিত ল্যাভেলের নিচে নেমে গেলে তা কারখাণনাকে উৎপাদনে েেযতে বাঁধার সৃষ্টি করবে। কোন কোন যন্ত্র বরফ জমে বিকল হয়ে পড়বে।গ্যাস রেশনিংয়ের মধ্য দিয়ে হলেও কারখানাটি উৎপাদনে ফেরাতে পারবে। তা না হলে যমুনা সারকারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
যমুনা সারখানার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মোযাজ্জেম হোসেন, সাার সম্পাদক মো. শাহজাহান ও কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক বলেন, যমুনা সার কারখানা চালুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের সাখে যোগাযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। র্দীঘ ৪ মাসের অথিক সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ ্িবকল হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমোনিয়া ট্যাংকে গ্যাসের স্তর দ্রুত নেমে যাচ্ছে। এভাবে আর কিছুদিন চললে এমোনিয়া ট্যাংকে উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে না। যমুনাকে বাঁচাকে হলে রেশনিং করে গ্যাস সরবরাহ দেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানার মহা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আঃ হাকিম বলেন, চলতি বছরের ২১ জুন গ্যাস সংকটের কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে কারখানাকে উৎপাদনে ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ্য করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।