দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকী দিচ্ছে আসামি পক্ষের লোকজন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের চক সুদাম বানিয়াপাড়ার মৃত পুর্ন চন্দ্র সরকারের ছেলে পরিমল চন্দ্র সরকারের সাথ পার্বতীপুর উপজেলার সোনাপুকুর গ্রামের মৃত গিরিশ চন্দ্র দাসের ছেলে গনেশ চন্দ্র দাস (৩০), মৃত শশী মোহন দাসের ছেলে সন্তোষ চন্দ্র দাস (৫৫), মৃত কালিদাসের ছেলে নির্মল চন্দ্র দাস (৪৯), নির্মল চন্দ্র দাসের ছেলে প্রিতম চন্দ্র দাস (২০), বঙ্কিম চন্দ্র দাসের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র দাস (২২), মৃত গিরিশ চন্দ্র দাসের ছেলে বঙ্কিম চন্দ্র দাস (৫০), সন্তোষ চন্দ্র দাসের ছেলে সজিব চন্দ্র দাস (২০), চিরিরবন্দর উপজেলার চক সুদাম দক্ষিণপাড়ার মৃত অনাথ চন্দ্র দাসের ছেলে দিলীপ চন্দ্র দাস (৩৭), প্রভাষ চন্দ্র দাসের ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র দাস (৩৭), মৃত যতীন্দ্র নাথ দাসের ছেলে মিন্টু চন্দ্র দাস (৩০), পরেশ চন্দ্র দাস (৫০), মৃত অনাথ চন্দ্র দাসের ছেলে প্রভাষ চন্দ্র দাস (৫৫) গণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৪/০৬/২০২২ ইং আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে শত্রুতার জের ধরে উপর্যুক্ত আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক দলবদ্ধ হয়ে তাদের উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষে দেশিয় অস্ত্র লাঠি সোডা, লোহার রড, হাসুয়া নিয়ে বড়ভাই নরেশ চন্দ্র সরকারের জমিতে প্রবেশ করে পানি নিষ্কাশনের পাইপ তুলে ফেলার চেষ্টা করে এবং পুকুরপাড়ে থাকা বাঁশের বেড়া ভাঙ্চুর করে। এ ঘটনা টের পেয়ে আমার বড়ভাই ও আমি পানি নিষ্কাশনের পাইপ তুলে ফেলা ও বাঁশের বেড়া ভাঙ্গার কারণ জানতে চাইলে আসামীদের সাথে তর্ক-বির্তক শুরু হয়। একপর্যায়ে আসামি বঙ্কিম চন্দ্র দাসের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা আমাদেরকে ধাক্কাপেটা শুরু করে। এ সময় আমাদের রক্ষা করতে স্থানীয় পবিত্র মহন্ত এগিয়ে আসলে আসামি গনেশ চন্দ্র দাস হাতে হাসুয়া দিয়ে মাথায় চোট মারিলে পবিত্র মহন্ত গুরুতর আহত হয় এবং আসামি গিরিশ চন্দ্র দাসের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে পবিত্র মহন্তের বাম পায়ে হাটুর নিচে সজোরে আঘাত করলে তার পা ভেঙ্গে যায়। এ সময় বাদী ও তার ভাই নরেশ চন্দ্র সরকার পবিত্রকে রক্ষা করতে গেলে আসামি উজ্জ্বল চন্দ্র দাস ও নির্মল চন্দ্র দাসের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বাদীকে এলোপাথারী মারপিট করে গুরুতর আহত করে এবং আসামি সন্তোষ চন্দ্র দাস বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অন্ডকোষে আঘাত করে মাটিতে ফেলিয়ে দিয়ে আসামি নির্মল চন্দ্র দাস বাদীর প্যান্টের পকেটে থাকা ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও অন্যান্য আসামিরা বাদীকে এলোপাথারী মারপিট করে গুরুতর আহত করে। অপরদিকে, বাদীর ভাই নরেশ চন্দ্র সরকারকেও এলোপাথারী মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনায় গত ০৫/০৬/২০২২ ইং তারিখে পরিমল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৭৯, ৫০৬ (২), ১১৪ ও ৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৬।
মামলা দায়ের হওয়ায় পুলিশ গত ০৮/১০/২০২২ইং তারিখে আসামি গনেশ চন্দ্র দাসকে আটক করে এবং গত ০৯/১০/২০২২ ইং তারিখে জেলহাজতে প্রেরণ করে। গত ০৯/১০/২০২২ ইং তারিখে আসামি গনেশ চন্দ্র দাসের জামিন শুনানীর দিন আসামি সন্তোষ চন্দ্র দাস কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে আদালত দুই আসামীরই জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করার আদেশ দেয়। আসামি সন্তোষ চন্দ্র দাস জামিনে বের হলেও আসামি গনেশ চন্দ্র দাস বর্তমানেও জেলহাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।