ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম এক নারীর সাথে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। এ সময় স্থানীয়রা ধরে ওই শিক্ষককে গনধোলায় দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে যশোরে এ ঘটনা ঘটে। স্কুল শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম কালীগঞ্জ উপজেলার রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেনের ছেলে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। সে যশোরের একটি মেয়েরে সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই মেয়েকে নিজেকে অবিবাহিত বলে ম্যাসেঞ্জারে লেখেন শিক্ষক অসিম। এরপর তিনি বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পরে দেখা করতে যান। দেখা করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ধরা খেয়ে যান শিক্ষক অসিম। স্থানীয়দের জেরার মুখে তিনি উল্টা-পাল্টা কথা বলতে থাকেন। স্থানীয়রা তাকে গনধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। এ সময় তার শরীরে থাকা জামা-কাপড় ছিড়ে যায়।
প্রায় দু,সপ্তাহ আগে ওই স্কুল শিক্ষক কালীগঞ্জ শহরের দশতলা ভবনের পিছনে এক মহিলার বাড়িতে যান। এ সময়ও তাকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে। কিন্তু সবাইকে ম্যানেজ করে ফেলে ওই স্কুল শিক্ষক। ফলে এ ঘটনায় রক্ষা পায়। এভাবে একাধিকবার নারীঘটিত ঘটনার কারণে তাকে স্কুল থেকে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিট। স্কুল টি ১৮৮২ সালে স্থাপিত। মনোয়ার হোসেন আসিম কালীগঞ্জ উপজেলা স্কাউটের সাধারন সম্পাদক।
সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা জানান, এটি সাংঘাতিক অপরাধ। যদি এমন কাজ ওই শিক্ষক করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে শিক্ষকের এমন অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় কালীগঞ্জ শহর জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবিলম্বে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।