
১৯৫৭ সালে সোভিয়েত উপগ্রহ স্পুতনিক-১ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মধ্যদিয়ে সূচিত হয় মানবজাতির মহাকাশ বিজয়ের অধ্যায়। এর পরপরই মহাশূন্যে পাঠানো হয় আরেকটি স্পুতনিক। এরপর যুক্তরাষ্ট্র মহাশূন্যে পাঠায় তার প্রথম উপগ্রহ এক্সপ্লোরার-১। তখন থেকে মনুষ্যনির্মিত শত শত যান ও উপগ্রহ পাড়ি জমায় মহাকাশে। এরপর শুরু হয় মনুষ্যবাহী যানের মহাশূন্যে পাড়ি জমাননা।
১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম মনুষ্যবাহী যান পাঠায় মহাশূন্যে। প্রথম মানুষ হিসাবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেন সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন। ১৯৬৯ সালের জুলাইয়ে মার্কিন মহাকাশ যান এ্যাপোলো-এর নভোচারী নেইল আর্মস্ট্রং মানুষের প্রথম পদচিহ্ন এঁকে দেন চাঁদের বুকে। বিশ্বের ৬০ কোটি টেলিভিশন দর্শক অবাকবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করে তার চাঁদে অবতরণ।
কয়েকটি দেশ মহাকাশে পাঠিয়েছে যোগাযোগ ও আবহাওয়া পূর্বাভাসের জন্য ক্ষুদ্র উপগ্রহ, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রচণ্ড প্রভাব ফেলছে। পৃথিবীর নিরক্ষরেখার উপর স্থায়ী কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ উপগ্রহ ইন্টেলস্যাট-৪। এটি গোটাবিশ্বে সংকেত আদান-প্রদান করতে সক্ষম। অনুসন্ধানী মহাকাশ যান পরীক্ষামূলকভাবে অবতরণ করেছে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহে। কিছু উপগ্রহ মহাকাশ থেকে পাঠাচ্ছে অন্যান্য গ্রহের গুরুত্বপূর্ণ ছবি। মনুষ্যসৃষ্ট অন্য একটি উপগ্রহ আমাদের সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়ে পাড়ি জমিয়েছে অজানার উদ্দেশে।