
১৮০০ সালের দিকে আফ্রিকা দখল নিয়ে উপনিবেশবাদী ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। এর ফলে একসময় প্রায় গোটা আফ্রিকা মহাদেশ হয়ে ওঠে ইউরোপীয় শক্তির উপনিবেশ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে আফ্রিকার মাত্র তিনটি দেশ ছিল স্বাধীন। এগুলো হচ্ছে লাইবেরিয়া, মিসর ও দক্ষিণ-আফ্রিকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আফ্রিকা মহাদেশের সব দেশ থেকে দাবি ওঠে স্ব-শাসনের।
১৯৩৬ সালে ইতালি দখল করে ইথিওপিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫১ সালে জাতিসংঘের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে ইতালীয় উপনিবেশ লিবিয়া।
১৯৫০-এর দশকে একটি-দুটি করে ব্রিটিশ ও ফরাসি উপনিবেশ স্বাধীনতা লাভ করতে থাকে। পরাধীনতার শিকল মুক্ত হয় তিউনিশিয়া, মরক্কো, ঘানা ও গিনি। এ ধারা অব্যাহত থাকে
৬০-এর দশকেও। কেবল ১৯৬০ সালেই স্বাধীনতা অর্জন করে আফ্রিকার ১৭টি দেশ। সত্তরের দশকে ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালের উপনিবেশগুলোর স্বাধীন হওয়ার মধ্য দিয়ে আফ্রিকা মহাদেশ মুক্ত হয় পরাধীনতার নাগপাশ থেকে। কিন্তু স্ব-শাসিত ব্রিটিশ কলোনি রোডেশিয়ার শ্বেতাঙ্গ শাসকরা কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে অস্বীকার করে।
১৯৬৫ সালে কৃষ্ণাঙ্গরা একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করে। দীর্ঘ গেরিলা যুদ্ধ এবং ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমঝোতার পর ১৯৮০ সালে রোডেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ নির্বাচন, ক্ষমতায় বসে একটি কৃষ্ণাঙ্গ সরকার। এপ্রিলে জিম্বাবুই নাম ধারণ করে সত্যিকার স্বাধীনতা অর্জন করে রোডেশিয়া।