
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো ধীরে ধীরে আফ্রিকার দিকে হাত বাড়াতে শুরু করে। তবে এ শতকে ইতালি শুধু ইরিত্রিয়া এবং ইতালীয় সোমালিল্যান্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। ১৯১২ সালে ইতালি তুরস্কের কাছ থেকে লিবিয়া দখল করে নেয় এবং পুরোপুরি দখল না করেও ইথিওপিয়ার (আবিসিনিয়া) ওপর অনেকটা করদ রাষ্ট্রের মত প্রভাব বিস্তার করে। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না ইতালির ফ্যাসিস্ট একনায়ক মুসোলিনি। ১৯৩৪ সালে ইথিওপিয়া ও ইতালীয় সোমালিল্যান্ডের মধ্যে একটি সীমান্ত সংঘর্ষকে অজুহাত হিসাবে দাঁড় করিয়ে ইতালি তাতে জড়িয়ে পড়ে। লিগ অবনেশনস ইতালির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কিভাবে প্রয়োগ করা হবে এ প্রশ্নে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রবল মতভেদের কারণে তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। ১৯৩৫ সালের অক্টোবরে ইতালীয় সৈন্যরা ইথিওপিয়া আক্রমণ করে। শক্তিশালী বিমানবাহিনী এবং বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করে ৭ মাসের যুদ্ধে ইতালি দেশটি পুরোপুরি দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইথিওপিয়া ইতালির কবলমুক্ত হয়।