
১৯১৯ সালের ২৫ আগস্ট লন্ডন ও প্যারিসের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান দৈনিক চলাচলের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয় প্রথম আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে প্রথমবারের মত বিরতিহীনভাবে একটি যাত্রীবাহী বিমান পাড়ি দেয় আটলান্টিক মহাসাগর। বিমানটি চালিয়ে নিয়ে যান ব্রিটিশ নাগরিক ক্যাপ্টেন জন অ্যালকক এবং লেফটেন্যান্ট আর্থার হোয়াইটেন ব্রাউন। এতে সময় লাগে ১৬ ঘণ্টার কিছু বেশি।
১৯২০ ও ৩০-এর দশকে বিমান চলাচলের অগ্রগতি হতে থাকে ধীর গতিতে। ১৯২৪ সালে কয়েকটি মার্কিন সামরিক বিমান প্রথমবারের মত পৃথিবীর চারদিক ঘুরে আসে; এতে সময় লাগে ১৭৫ দিন। এরপর ১৯২৭ সালে মার্কিন নাগরিক চার্লস লিন্ডবার্গ একটি বিমান নিয়ে প্রথমবারের মতো একা পাড়ি দেন আটলান্টিক মহাসাগর। এর একবছর পর অস্ট্রেলীয় বৈমানিক চার্লস কিংসফোর্ড প্রথমবারের মতো এককভাবে পাড়ি দেন প্রশান্ত মহাসাগর।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৩৯ সালে প্রথম চালু করে ট্রান্স আটলান্টিক এয়ারমেইল সার্ভিস। এর পরপরই একই রুটে শুরু হয় যাত্রীবাহী বিমান চলাচল। এর আগেই জার্মানি একটি এয়ারশিপ বা বৃহদায়তন বিমানের সাহায্যে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করে। কিন্তু ইঞ্জিনে আগুন ধরে ১৯৩৭ সালে হিন্ডেনবার্গ নামের বিমানটি ধ্বংস হয়ে গেলে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে যাত্রী পরিবহনের জার্মান উদ্যোগের পরিসমাপ্তি ঘটে।