রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে প্রত্যন্ত জনপদে মাঠ জুড়ে ফসলের সবুজের সমারোহ। যতদুর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ ফসলের মাঠ। মাঠের পর মাঠ জুড়ে সবুজ ধানের গাছ বাতাশে দোল খাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর হালকা বাতাসে ধানের চারা গাছের চেহারাও বেশ ভালো হয়েছে। কোনো প্রকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে কৃষকরা জানিয়েছেন। আগাম জাতের ধানের গাছের মুখে মুখে শীর্ষ উঁকি দিচ্ছে,চাষিদের মনে তাই আনন্দ বিরাজ করছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ মওসুমে ২৫ হাজার ৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিডসহ প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৭১, বিনা-৭, বিনা ধান- ১৭, হীরা-২, হিরা-১০ এবং ধানী গোল্ড আগাম জাতের ধানের চাষ হয়েছে। চতরা এলাকার কৃষক আবদুর সাত্তার দুদু মিয়া বলেন, ধানী গোল্ড জাতের ধান সাড়ে তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছি, খরচ বেশি হলেও আবাদ ভালো হয়েছে এবং বেশি ভাগ ধানের শীর্ষ বের হয়েছে। আগাম জাতের ধানের চাষ করে তিনি খুবই খুশি। যাদবপুর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন,এ বছর বৃষ্টির পানি কম যে কারণে আগেভাগেই সেচ পাম্প চালু করে জমিতে ধান রোপণ করেন। এখন তার ধানের গাছ মোটাতাজা হয়েছে এবং বেশিরভাগ ধান গাছের শীর্ষ বের হয়েছে। ক্ষেতের চেহারা দেখে মন ভরে গেছে তার। আগাম জাতের আমন ধানের চাষ করে তিনি বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তিনি আরও বলেন আগাম ধান ও (কাচা কাড়ি) খড় গো-খাদ্য হিসাবে ভালো দামে বিক্রি করবেন বাজারে। জমিতে আবার আগাম জাতের নতুন ফসল ফেলতে পারবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবদি এম সাদেকুজ্জামান বলেন, উপজেলা ধানের চাষ ভালো হয়েছে। আগে থেকেই কৃষক পানি সেচ দিয়ে আগাম জাতের ধানের চাষ করছে। এ বছর ধানের জমিতে পোকার আক্রমণ এবং রোগ বালাই একেবারেই কম। তিনিও আশা করেন আমন ধানের ফলন অনেক ভালো হবে।