চাঁদপুরে প্রেমিককে না পেয়ে প্রেমিকা যখন দিশেহারা, ঠিক তখনই প্রতারক তান্ত্রিক কবিরাজের ফাঁদে পড়ে ধর্ষনের শিকার হয়েছে, যুবতী প্রেমিকা। অভিযুক্ত তান্ত্রিক কবিরাজ পুলিশের হাতে আটক।
চাঁদপুরে প্রেমিকা তার প্রেমিককে না’পেয়ে দিশেহারার মত পাগল হয়ে হতাশার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ছটফট করে দিনাতীপাত করে যন্ত্রনার সাগরে ভাসছিল। এরইমধ্যে প্রেমিককে পেয়ে যাওয়ার একটি নতুন রাস্তা খুঁজে পায় কবিরাজের মাধ্যমে। তাই সেই পুরনো প্রেমিককে বসে এনে দেবার কথা বলে যুবতীকে কৌশলে ধর্ষন করেন মামলায় অভিযুক্ত তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহিম (৫৭)। এ বিষয়ে মামলা হলে অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে পুলিশ আটক করেন। ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করার অপরাধে ভুক্তোভোগী যুবতী কথিত তান্ত্রিক কবিরাজ ওরফে ইব্রাহিম ডাক্তার (৫৭) কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন যুবতী। মামলা নং-০৩।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাজন শহরের যমুনা রোড থেকে তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহীম কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আটক তান্ত্রিক কবিরাজ ইব্রাহিম শহরের বড় স্টেশন যমুনা রোডের মৃত. তৈয়ব আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী যুবতী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃহকালিন্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। ঘটনার পরপর তান্ত্রিক কবিরাজ পালিয়ে গিয়ে ছিল।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের যমুনা রোডে মা মেডিকেলের ওষুধ ফার্মেসীর দোকানে পেশায় তান্ত্রীক কবিরাজ ও ডাক্তারী কাজ করে থাকেন ইব্রাহিম। যুবতীর ব্যক্তিগত সমস্যাসহ প্রেমিকের সাথে দূরত্ব হওয়ায় তাহার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ভাল হওয়ার জন্য তান্ত্রিক কবিরাজের কাছে যায়। বিভিন্ন উপায়ে যুবতীকে কু-প্রস্তাব এবং দৈহিক মিলন করলে প্রেমিকের সাথে ভাল সম্পর্ক হবে বলেন তান্ত্রিক কবিরাজ জানান। গত ২৪ আগস্ট রাতে যুবতীকে দেখা করার জন্য বলে কবিরাজ ইব্রাহিম। পরে কবিরাজের কথায় বিশ্বাস করে ২৪ আগস্ট রাত ১১ টায় তার ফার্মেসীতে যায় প্রেমিককে হারানো যুবতী। দীর্ঘ সময় কথাবার্তা বলার পর কবিরাজ কৌশলে তাহার বসত ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে কবিরাজ আসন দিবে বলে যুবতীকে তার পরিহিত জামা কাপড় খুলতে বলে। একপর্যায়ে তার বসত ঘর হইতে বাহির হওয়ার চেষ্টা করলে কবিরাজ জোর পূর্বক ঘরের দরজা বন্ধ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক যুবতীকে ধর্ষন করে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার এস-আই (উপ-পরিদর্শক) মোঃ রাকিবুল ইসলাম রাজন জানান, অভিযুক্ত কবিরাজ কে যমুনা রোড থেকে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী যুবতী জানান, দূর সম্পর্কের আত্মীয় যমুনা রোডের সেকুল, স্বপ্না ও রহিমা আমাকে কবিরাজ ইব্রাহিমের কাছে নিয়ে যায়। আমার সমস্যা সমাধান করবে বলে ৫০ হাজার টাকার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী প্রথমে ২১ হাজার টাকা প্রদান করি। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ৩০ হাজার টাকা প্রদান করি। টাকা দেওয়ার পর নির্জনে আসন দিবে বলে তার বাসায় আসতে বলে। তার কথা মত আমি কবিরাজের বাসায় যাই। আসন দেওয়ার পর ধুপের ধোয়ায় আমি প্রায় অচেতন হয়ে পড়ি। পড়ে সে আমাকে সারা রাত ধর্ষণ করে। সকালে তার ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর আরও দুইদিন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া আমাকে ফার্মেসীর ভেতরে রেখে তার স্ত্রীসহ অনেক মারধর করে। আমি প্রশাসনের কাছে তার বিচার চাই।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, অভিযুক্ত কবিরাজ ইব্রাহিম কে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।